ভারতের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বের সম্পর্ক’ চান বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিক🗹ুর রহমান। তার এ মন্তব্য নজরে এসেছে দিল্লির। ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরও আলাপ আলোচনা হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল দিল্লিতে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা ⛦জ♋ানান।
এদিনের ব্রিফিংয়ে নানাভাবেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন। এগুলোর মধ্যে যেমন ছিল জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, তেমনই🎀 ছিল সাম্প্রতিক বন্যার দায় কার? এ নিয়ে বাংলাদেশের একাংশ থেকে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎসহ নানা বিষয়।
বাংলাদেশ ⛦জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার গত ১ অগাস্☂ট যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা ২৮ অগাস্ট প্রত্যাহার করেছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।
এরপর দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করতেಞ গিয়ে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে তার দল আগ্রহী।
জামায়াত আমিরের এ মন্তব্য নিয়েই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, জ꧅ামায়াতে ইসলামীর দিকে অভিযোগ ওঠে যে, সেখানে তারা ভারত-বিরোধী মনোভাবඣকে প্ররোচনা দেয়। কিন্তু এখন যখন তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায়। এ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান কী?
এ প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষꦗ্টার সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের ব্যাপারে বিস্তারিত বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা, বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া, সাম্প্রতিক বন্যা ইত্যাদি বিষয় উলꦇ্লেখ করে জয়সওয়াল মূল প্রশ্নের জবা🧸ব দেন মাত্র এক লাইনে।
প্রশ্ন করা সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি অন্য যে বিষয়টির প্রসঙ্গಞ উত্থাপন করলেন (🥃জামায়াতে ইসলামীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রসঙ্গ), সেটা আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা আশাবাদী যে, বিষয়টি নিয়ে পরে আমরা আরও আলাপ আলোচনা করব।
অন্য এক সাংবাদিক জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে মুখপাত্র❀র কাছে জানতে চাইলে রণধীর জয়🌄সওয়াল বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে দেখছি’।
সূত্র: বিবিসি