সরকার পতনের পর পালিয়ে থাকা পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানকে অপসারণ ও নিয়মবহির্ভূত উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে♒ন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
রোববার (০🔴১ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। পরে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচারের দাবি করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি- গত ১২ বছর ধরে কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খান আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করে আছেন। তার পদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ ঘোষণা করলেও আওඣয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালীদের প্রভাবে তা তোয়াক্কাই করতেন না। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বর্তমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত 🍨অধ্যক্ষ পলাতক থাকায় কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।
বিগত আওয়ামী সরকারে আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের ওপর জুলুম ন♒ির্যাতন করা হয়েছে। কলেজের ৫০ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকরা জানান, বিভিন্ন সময়ে তাকে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে পাবনার সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স ও আওয়ামী লীগ নেতা কামিল হোসেন কলেজে এসে শিক্ষকদের হুমক-ধামকি দেন। তারা হুমকি দেন যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ তাদের লোক, সে যাই করুক তাকে এখান থেকে সড়ানো যাবে না। এটা রাজনৈতিক পোস্ট। এটা নিয়ে কোনো শিক্ষক বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগের নেতারা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের মাধ্যমে কলেজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসুক। অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধ🧜ে অর্থ আত্মসℱাৎ ও নানা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করেন।
শিক্ষার্থ🎉ীরা বলেন, “ভর্তির সময় ও ফরম পূরণের সময় অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হলেও সেই টাকার কোনো হদিস থাকে না। কলেজের সুনাম একদম নষ্ট হয়ে গেছে। পড়াশোনার কোনো মান নেই। পাবনার এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানে কোনো উন্নতি নাই, সব কলেজের কত উন্নতি হচ্ছে আমাদের কলেজের কেন উন্নতি নাই। কলেজে ভালো ওয়াশরুম নেই, রুমগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। এই শিক্ষককে কলেজ ক্যাম্পাসে ডুকতে দেওয়া হবে না।”
মানববন্ধনে কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, সহকারী অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন, ইসলামের ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক মাখসুদা আক্তার খুশি, সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মোমিন, মোকাদ্দেশ আলী, সাইদুল ইসলাম, মাসুদ করিম, শামসুল আলম, নাছিমা খাতুন, আবু সাঈদ, আব্দুর রাজ্জাক -২, নজরুল ইসলাম, এ কে এম আফজাল হোসেনসহ 🌳কয়েক শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কলেজের অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের মো✅বাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া য🥀ায়নি।