• ঢাকা
  • রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ২৭ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


মনসুর আলী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
মনসুর আলী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ

সরকার পতনের পর পালিয়ে থাকা পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানকে অপসারণ ও নিয়মবহির্ভূত উপাಌধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক-শিক🐻্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। পরে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচারের দাবি করে নানা স্লোগান 🥀দিতে থাকেন।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি- গত ১২ বছর ধরে কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খান আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করে আছেন। তার পদ জাতীয় বওিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ ঘোষণা করলেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালীদের প্রভাবে তা তোয়াক্কাই করতেন না। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বর্তমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পলাতক থাকায় কলেজ𒆙ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

বিগত আওয়ামী সরকারে আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের ওপর জুলুম নির্যাꦗতন করা হয়েছে। কলেজের ৫০ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষকরা জানান, বিভিন্ন সময়ে তাকে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে পাবনার সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স ও আওয়ামী লীগ নেতা কামিল হোসেন কলেজে এসে শিক্ষকদের হুমক-ধামকি দেন। তারা হুমকি দেন যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ তাদের লোক, সে যাই করুক তাকে এখান থেকে সড়ানো যাবে না। এট𒁏া রাজনৈতিক পোস্ট।  এটা 🌳নিয়ে কোনো শিক্ষক বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগের নেতারা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের মাধ্যমে কলেজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসুক। অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “ভর্তির সময় ও ফরম পূরণের সময় অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হলেও সেই টাকার কোনো হদিস থাকে না। কলেজের সুনাম একদম নষ্ট হয়ে গেছে। পড়াশোনার কোনো মান নেই। পাবনার এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানে কোনো উন্নতি নাই, সব কলেজের কত উন্নতি হচ্ছে আমাদের কলেজের কে🐭ন উন্নতি নাই। কলেজে ভালো ওয়াশরুম নেই, রুমগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। এই শিক্ষককে কলেজ ক্যাম্পাসে ডুকতে দেওয়া হবে না।”

মানববন্ধনে কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, সহকারী অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন, ইসলামের ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক মাখসুদা আক্তার খুশি, সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মোমিন, মোকাদ্দেশ আলী, সাইদুল ইসলাম, মাসুদ করিম, শামসুল আলম, নাছিমা খাতুন, আবু সাঈদ, আব্দুর রাজ্জাক 𒁏-২, নজরুল ইসলাম, এ কে এম আফজাল হোসেনসহ কয়েক শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কলেজের অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার ব🏅ক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

Link copied!