চট্টগ্রাম নগরীরꦿ পাথরঘাটা এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিনটি মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর পাথরঘাটার হরিশ চন্দ্র মুন্সেফ লেইনে শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির, সংলগ্ন শনি মন্দির ও শান্তনেশ্বরী ক🔯ালীবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মন্দির পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক শ লোক বি🔥ভিন্ন স্লোগান দিয়ে মন্দির লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং শনি মন্দিরে ভাঙচুর করে। অন্য দুই মন্দিরের ফটক ভাঙচুর করা হয়।
তবে পুলিশ বলছে, দুই🐬 পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর একটি মন্দিরের ‘সামান্য’ ক্ষতি হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শান্তনেশ্বরী মূল মন্দির পরিচালনা কমিটির স্থায়ী সদস্য এবং হরিশ চন্দ্র মুন্সেফ লেনের সর💖্দার তপন দাশ বলেন, “দুপুরে নামাজের পর কয়েক শ লোকের একটা মিছিল আসে। এ সময়ও তারা হিন্দু ও ইসকনবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। মিছিল থেকে দুর্বৃত্তরা শান্তনেশ্বরী মন্দিরের মূল ফটকের গেইটে আঘাত করতে থাকে, কোপায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় তারা শনি মন্দিরে ভাঙচুর চালায় এবং রক্ষা কালীমন্দিরেও হামলা চালায়। আশপাশের কয়েকটি দোকানেও হামলা হয়।”
সর্ꦚদার তপন দাশ বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেনাব🐠াহিনীর সদস্যদের ফোন দিলে দ্রুত তারা সেখানে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুরের আগে থেকেই মূল মন্দির এবং অন্য দুটি মন্দিরের সব ফটক বন্ধ করা ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই মিছিল করে এসে এ হামলা চালানো হয়।”
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, “দুর্বৃত্তরা এসে মন্দিরে হামলার চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। এসময় দুর্বৃত্তরা ছোট একটি মন্দিরে হাম𝄹লা করে। পুলিশ উভয় পক্ষের মাঝখানে থেকে পরিস্থিতি নিয়স্ত্রণে আনে।”
বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্🗹রণে রয়েছে বলে জানান ওসি আবদুল করিম।