ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের⛄ সংঘর্ষে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘ🍨টনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালꦍে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, খা𒆙পুরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারে একপক্ষের নেতৃত্ব দেন সাধু মাতুব্বর এবং অপরপক্ষের মিরাজ সিকদার। সম্প্রতি সাধু মাতুব্বরের দলের আজিম ফকিরের সঙ্গে মিরাজ সিকদারের দলের রিপন সিকদারের দোকানের কর্মচারীর কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ নভেম্বর আজিম ফকিরকে (১৯) পিটিয়ে আহত করে মিরাজ সিকদারের পক্ষের লোকজন। এরপর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। এ নিয়ে শনিবার সকালের দিকে দুপক্ষের লোকজন মুনসুরাবাদ ব💛াজারে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এরপরই দুপক্ষের কয়েকশ🌜 লোক দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষ শুরু করে। ꧒এ সময় মিরাজ সিকদারের দলের চুন্নু সিকদার, নুরু শেখ ও ফরহাদ শেখের বাড়ি ভাঙচুরের করা হয়।
একই সঙ্গে ফরহাদ শেখের একটি মাইক্রোবাসও ভাঙচুর হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাধু মাতুব্বরের সমর্থক রোমা✤ন মিয়া (২৬) এবং মিরাজ সিকদারের দলের শিপন সিকদার (৩০)।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বাকি আহতদের মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিꦚকিৎসাধীন রয়েছেন মিরাজ সিকদারের সমর্থক বিপ্লব ফকির (৩০) ও নুর ইসলাম (৪৫)। অন্য আহতরা স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, গুরুতর আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ভর্তি রয়েছেন। ৩ জন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের শরীরে কোঁপ, ইটপাটꦚকেলের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ভাঙ𝐆্গার হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “খাপুরা গ্রামের সাধু মাতুব্বর ও মিরাজ সিকদারের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সামন্য বিষয় থেকে প্রথমে একজনকে পিটিয়ে আহত করার পর দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি আমি।”
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর🦹্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ🔴ে রয়েছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”