পরিবারকে সময় দিতে ও জন্মহার বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারি কর্মচারীদের জন্য চ𝔍ার দিনের কর্মসপ্তাহ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে সপ্তাহে দুই দিনের পরিবর্তে তিন দিন করে ছুটি পাবেন চাকরিজীবীরা। আসছে বছরের এপ্রিল থেকে স💫রকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা দীর্ঘদিন ধরে জাপানের করপোরেট সংস্কৃতির একটি সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়ে🧔 রয়েছে। যেখানে কর্মীরা প্রায়ই স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হন। চরম অবস্থায় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে এ মৃত্যুকে জাপানি ভাষায় বল🔜া হয় ‘কারোশি’।
শুধু তাই নয়, নারীরা প্রায়ই ক্যারিয়ার এ🐬বং পরিবারౠের মধ্যে একটি বেছে নিতে বাধ্য হন। আর ওভারটাইম কাজের সংস্কৃতি এই পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তোলে।
সাপ্তাহিক কর্মদিবস বিষয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান♉্তে আরেকটি নতুন নীতি চালু করা হচ্ছে। যার আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মায়েরা আংশিক বেতন কাটছাঁটের মাধ্যমে দ্রুত ⛎অফিস ত্যাগ করার সুযোগ পাবেন।
জাপান সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কর্মজীবী মায়েদের সহায়তা এবং রেকর্ড-নিম্ন জন্মহার বৃদ্ধি করতেই নতুন এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এমনকি জন্মহার বাড়াতে পুরুষদের পিতৃত্বকালী༒ন ছুটির মতো নানা উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক সমাজবিজ্ঞানী মনে করেন, জাপানের কঠোর কর্মসংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় জন্মহারের নিম্নগতির জন্য দায়ী।
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে মাত্র ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৭৭ শিশুর জন্ম হয়েছে। এর ফলে প্রজনন হার ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এস﷽েছে। যেখানে জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন ২ দশমিক ১ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমা দেশগুলোতে চার দিনের কর্মসপ্তাহ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এটি কর্মীদের উৎপাদনশীলতা ও মানসিক স্বাস্ꦺথ্যের উন্নতি ঘটায়। তবে জাপানের জন্য এটি এখনো মৌলিক একটি ধারণা। দেশটির অনেক কোম্পানি কর্মক্ষেত্রে ব্যয় করা সময়কে আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে দেখে। সূত্র: সিএনএন