ভারতে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এতে মূল্যস্ফীত♛ির হারও বাড়ছে। গেল অক্টোবরে এই হার ছিল ১৪ মাসের ♒মধ্যে সর্বোচ্চ। রেকর্ড মূল্যস্ফীতির কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে। তারা খাদ্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।
রেকর্ড মূল্যস্ফীতির কারণ হিসেবে খাদ্যপণ্যের দাম𓄧 বৃদ্ধিকে দায়ী করছে মোদি সরকার। সেজন্য মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনীতিবিদদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানাচ্ছে, আগামীতে নিত্য🅘প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। ফলে এখন থেকেই সংসার চালানোর ক্ষেত্রে আয়-ব্যয়ের হিসাবে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পর আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে হতে পারে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তরা।
সূত্রমতে, চলতি 🃏বছরের অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতির সার্বিক হার উঠে যায় পাঁচ শতাংশের উপরে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে🦩 খুচরো মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে। আর সূচক ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশে দাঁড়ায় গেল আগস্ট মাসে।
আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ হয়েছে। এর জেরে মূল্যবৃদ্ধির হার আরবিআইয়ের ২১ বেসিস পয়েন্টের সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গেছে। মূলত, মুদ্রাস্ফীতিকে চার শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেꦉন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে উভয় ꧋দিকে দুই শতাংশ মার্জিন রেখেছে আরবিআই।
রেটিং সংস্থা ‘ক্র🐼িসিল’ বলছে, চলতি বছরের অক্টোবরে বাড়িতে রান্না করা নিরামিষ থালির দ🐼াম বেড়েছে ২০ শতাংশ। গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় আমিষ প্লেট পাঁচ শতাংশ দামি হয়েছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই অবশ্য জানাচ্ছে, গেল বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হ🦹ার কমেছে। গেল বছরে দাম বৃদ্🃏ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। তবে অক্টোবরে দাম বৃদ্ধির সূচক খানিকটা নেমে ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ হয়েছে।
সরকারি তথ্যমতে, খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধি চলতি বছরের আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এক মাসের মধ্যেই অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে তা একলাফে বেড়ে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ 𓆏হয়। অথচ গেল বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন খাদ্যশস্য, সবজিসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে না পা🍃রলে খুচরো পণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার কমানো কঠিন হবে। এমনটা হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ভারতের শেয়ার বাজারেও।