• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সপ্তাহে তিন দিন সরকারি ছুটির পরিকল্পনা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
সপ্তাহে তিন দিন সরকারি ছুটির পরিকল্পনা
অফিসে কাজের চাপে বিশ্বে বছরে মারা যান ১৯ লাখ মানুষ। ছবি: প্রতীকী

জাপানে বর্তমানে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। ২০৬৫ সালে তা কমে দাঁড়াবে ৪ কোটি ৫০ লাখে। সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক সরকারি শ্বেতপত্রে ‘অতিরিক্ত পরিಌশ্রমের কারণে মৃত্যু’ বিষয়টি উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এ কারণে জাপানে বছরে অন্তত ৫৪টি প্রাণহানি ঘটেছে। এর 🎐মধ্যে হার্ট অ্যাটাকও আছে।

তাছাড়া জাপানে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে শ্রমস✃ংকট। যে কারণে কর্মীদের তিন দিন ছুটি দিয়ে চার দিনের কর্ম সপ্তাহ চালুর কথা ভাবছে সরকার। অবশ্য, ২০২০ সাল থেকেই দেশটির এসএমবিসি নিক্কো সিকিউরিটিজ ইনক. কর্মীদের সপ্তাহে তিন দিন ছুটি দেওয়া শুরু করে।

তিন দিনের ছুটির মডেলের উদ্যোক্তারা বলছেন, এটি শিশুদের লালন-পালন করা, বয়স্ক আত্মীয়দের যত্ন নেওয়া, পেনশনে থাকা অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ও আরও বেশি দিন কর্মশক্তিতে থাকার জ꧅ন্য নমনীয়তা বা অতিরিক্ত আয়ের সন্ধানে থাকা ব্যক্তিদের উত্সাহিত করবে।

ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান মিজুহো ফিন্যান্সিয়াল গ্রুপ তিন দিনের সম꧟য়সূচির বিকল্প প্রস্তাব করে। এরপর সরকারিভাবে প্রথমবারের মতো ২০২১ সালে জাপানে চার দিনের কর্ম সপ্তাহের প্রস্তাব করা হয়। সে সময় আইনপ্রণেতারা ধারণাটিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ধারণা বাস্তবায়নের গতি ধীর হয়🌼।

স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সে সময় জাপানের প্রায় ৮ শতাংশ কোম্পানি কর্🍌মীদের সপ্তাহে তিন বা তার বেশি দিন ছুটি নেওয়ার অনুমতি দেয়। তবে ৭ শতাংশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের আইনত বাধ্যতামূলকভাবে এক দিন ছুটি দেয়।

বর্তমানে জাপান সরকার ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসার মধ্যে আরও বেশি ক্রেতা তৈরির আশায় ‘কাজের স্টাইল সংস্কার’ প্রচারাভিযান চালু করেছে। এতে ওভারটাইম সীমা এবং সবেতন বার্ষিক ছুটিসহ কম ঘণ্টা কাজ এবং অন্যান্য নমনীয় ব্যবস্থাকে প্রচার করছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাতারাকিকাতা কাইকাকুꦅ’। বাংলা অর্থ হচ্ছে, ‘আমরা কীভাবে কাজ করি তা উদ্ভাবন করা’।

এই প্রচারাভিযান সম্পর্কে জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, “এমন একটি সমাজ নির্মাণ করা হবে, যেখানে শ্রমিকেরা তাদের পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কাজ বেছে নিতে পারবেন। কর্মীদের ভবিষ্যৎ যেন আর🍸ও ভালো হতে পারে, সে জন্য প✤্রবৃদ্ধি ও বণ্টনের একটি পুণ্য চক্র তৈরি করতে হবে।”

জাপানে ইতিমধ্যে ফাস্ট রিটেইলিং কোম্পানি, ইউনিক্লো, থিওরি, জে ব্র্যান্𝔉ড ও অন্যান্য পোশাক ব্র্যান্ডের মালিক, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি শিওনো🦹গি অ্যান্ড কোম্পানি এবং ইলেকট্রনিকস কোম্পানি রিকো কোম্পানি ও হিটাচি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চার দিনের কর্ম সপ্তাহের প্রস্তাব দিতে শুরু করেছে। 

Link copied!