শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম। ক্ষির কিংবা পায়েস, আর নানা ধরণের পিঠার অন🌱্যতম উপকরণ থাকে গুড়। শীতের সময় খেঁজুরের রসে আসল গুড় পাওয়া যায়। তাই মিষ্টি পদ বানাতে খেঁজুরের গুড় লাগবেই। খেঁজুরের গুড় যেন খাবারের স্🍬বাদে ভিন্নতা দেয়। এর গন্ধতেই যেন মন ভরে যায়।
গ্রামাঞ্চলে খাঁটি খেঁজুরের গুড় পাওয়া গেলেও শহুরে জীবনে তা পাওয়া কষ্টকর। শহরের বাজার ঘুরে খেঁজুরের গুড় কিনে আনেন। কিন্তু এর গন্ধ আর স্বাদ পাওয়া যায় না। এর কারণ হচ্ছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা গুড়ে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করে। খেঁজুরের গুড় বেশি মিষ্টি করার জন্য কৃত্রিম চিনি, রং ব্যবহার করা হয়। যা স্বাদ নষ্ট করে দেয়। আবার ভেজাল এই গুড় স্বাস্থ্যের জন꧃্যও ক্ষতিকর।
গুড়ে কোনো ভেজাল আছে কি না কিংবা খাঁটি খেঁজুরের গুড় চেনার কিছু কৌশল রয়েছে। কেনার সম🅘য় এই কৌশল মনে রাখুন।
· গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়। কিন্তু তা যদি হলদে রঙের হয় তবে বুঝতে হবে এতে অতিরিক্ত রাসায়নিকের ব্♑যবহার হয়েছে।
· কেনার সময় সামান্য গুড় ভেঙে নিন। ত❀া মুখে নিয়ে চেখে দেখুন। জিভে নোনতা স্বাদ লাগলে বুঝবেন এটি খাঁটি গুড় নয়।
· গুড় কেনার সময় গুড়ের ধারটা দুই আঙুল দিয়ে চেপে দেখুন। নরম লাগলে বুঝতে হবে এটি খাঁটি। ধাꦚর কঠিন হলে তা কেনাই ভালো।
· গুড়ের স্বাদ তেতো হলে স্বাদের হয়, তবে বুঝতে হবে এটি ভা🐓লো হবে না। গুড় বেশি সময় নিয়ে🍒 জ্বাল দিলে তেতো হয়ে যায়। এই গুড় দিয়ে মিষ্টি পদে স্বাদ হয় না। তাই তা না কেনাই ভালো।
· গুড় কেনার আগে দেখে কিনুন। তা যদি স্ফটিকে🦩র মতো দেখতে হয় তবে বুঝবেন, গুড়টি যে খেজুর রস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা মিষ্টি কম ছিল। তাই গুড়টিকে মিষ্টি করতে কৃত্রিম চিনি মেশানো হয়েছে। গুড় খেতে গেলে সেই স্বাদ বোঝা যাবে।