• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ২৮ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


টক্সিক প্যারেন্টিংয়ে যেসব ক্ষতি হয় সন্তানের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
টক্সিক প্যারেন্টিংয়ে যেসব ক্ষতি হয় সন্তানের
মা-বাবার টক্সিক প্যারেন্টিংয়ে ছোটখাটো বিষয় নিয়েও শিশু অতিরিক্ত জেদ করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

বাবা-মা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা।  আর মা-বাবাই শিশুর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। সবচেয়ে কাছের মানুষ। মা- বাবার আদর যত্নে সন্তান বড় হয়ে উঠে। ফলে বাবা-মায়ের কর্মকান্ডের প্রভাব পড়ে সন্তানের উপর। মা-বাবার যেকোন ভুল প্যারেন্টিং তাদের সন্তানকে ভুল পথে নিয়ে যাবে। প্যারেন্টিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সন্তান জন্মের পর থেকে তার এগিয়ে য𓃲াওয়ার জন্য বাবা-মা থেকে নির্দেশনা পায় এবং মানসিক, শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ইত্যাদি দিক দিয়ে তাকে সহযোগিতা করা হয়। আর আপনাদের অর্থাৎ মা-বাবার প্যারেন্টিং যদি হয় টক্সিক তাহলে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে সন্তানের মনের উপর। আর সেই প্রভাব প্রকাশ পায় তাদের আচরণের মাধ্যমে।🎃 তখন বাচ্চা জেদী হয়ে উঠবে।

উন্নত দেশগুলোতে প্যারেন্টিং এই টার্মটা খুবই জনপ্রিয় বা গুরুত্বের সাথে দেখা হলেও আমাদের দেশে অধিকাংশ বাবা-মা এ ব্যাপারে অজ্ঞই বলা চলে। কিন্তু আপ🍎নার টক্সিক প্যারেন্টিং আপনার বাচ্চার ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবেন। দেখে নিন টক্সিক প্যারেন্টিংয়ে যেসব ক্ষতি হয় সন্তানের-

  • বাবা-মায়ের টক্সিক প্যারেন্টিংয়ের কারণে সন্তান সৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে। তাকে যেমন আপনারা সবকিছু চাপিয়ে দিতে চান সেও একই জিনিস সবার সঙ্গে করতে চাইবে। ফলে একসঙ্গে থাকার যে ব্যাপারটা সেটা তারা বুঝবে না।
  • কিছু বাবা-মা আছেন যারা বাচ্চাকে টাফ তৈরী করতে চান, যাতে বাচ্চা ভবিষ্যতে জীবনের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলির মুখে পড়েও সোজাভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। তারা ভুলে যান একটা বাচ্চার একটা নির্দিষ্ট বয়েস পর্যন্ত কোমল আচরণ, যত্ন, ভালোবাসার দরকার আছে। কিন্তু বাবা-মায়ের এই আচরণ শিশুর মনের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে মানবিক যে গুণাবলি সেগুলো তাদের মধ্যে গড়ে উঠে না।
  • মা-বাবার টক্সিক প্যারেন্টিংয়ে সন্তান অনেক সময আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠে। যার ফলে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে না। সেই বাচ্চারাই একা একা বড় হয়।
  • মা-বাবা ‘টক্সিক’ হলে শিশুর চাওয়া-পাওয়াকে তারা কম গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাদের চাওয়া হয়ত ছোট হতে পারে কিন্তু সেটাকে গুরত্ব না দিলে আপনার সন্তার নিজেকে বঞ্চিত বোধ করবে।  তখন ছোটখাটো বিষয় নিয়েও সে তখন অতিরিক্ত জেদ করতে পারে।
  • মা-বাবা ‘টক্সিক’ হলে শিশু অল্পতেই রেগে যায়। তখন রেগে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে, কাউকে মারতে উদ্যত হয় কিংবা কোনো কিছু ভাঙতে চায়। অর্থাৎ মা-বাবার প্যারেন্টিংয়ের কারণে সন্তানও এমন ‘টক্সিক’ হয়ে যাবে। হাসি-কান্না মানুষের আচরণের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। তবে অল্পতেই ভেঙে পড়া কিন্তু একটি অস্বাভাবিকতা। টক্সিক অভিভাবক শিশুর আবেগের মূল্য দেন না। সে ক্ষেত্রে শিশুর এই অবমূল্যায়িত আবেগের অনিয়ন্ত্রিত বহিঃপ্রকাশ দেখা দেয়।
  • আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগে টক্সিকে শিকার শিশুরা। তখন সে ভীত আচরণ করে এবং তাদের মধ্যে হতাশা ভর করে। একেবারে চুপচাপ হয়ে গিয়ে একা একা থাকতে শুরু করে। অল্পতেই অস্থির হয়ে উঠে। 
Link copied!