একটি সহজাত এবং শক্তিশালী আবেগ ভয়। অত্যধিক দুশ্চিন্তা, নৈরাশ্যবাদী ভাবনা, দ্বিধাবোধ, কাজের প্রতি অনীহা, ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ক্ষতি করা ইত্যাদি এই বিশেষ ধরনের ভীতির লক্𒀰ষণ। সমাজবিজ্ঞানী ড. মারগী কের বলেছেন, ‘ভয়ের কারণ দ্রুত শনাক্ত করা এবং পরিত্রাণের উপায় বের করা জরুরী। এটাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।’ চলুন জেনে নেই ভয় কাটিয়ে উঠতে কী কী করবেন-
- যে বিষয়ে আপনার ভয় আগে সেটার কারণ খুঁজে বের করুন। আগে দেখুন আপনার ভয় কতটা যৌক্তিক। পরবর্তী সময়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
- নিজের মনকে প্রস্তুত করুন। অর্থাৎ আপনি জানেন বিশেষ কোন পরিস্থিতি আপনাকে বিব্রত করে, সুতরাং এখনই তার মুখোমুখি না হয়ে, আপনার মন পুরোপুরি তৈরি হবার পরই আপনি তার মোকাবেলা করুন।
- অনেকেই আছেন ভবিষতে কি হবে সেটা ভেবে এখনই ভয় পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে অযথা চিন্তা বা উদ্বেগ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। আপনি পরীক্ষা বা কর্মজীবনে সাফল্য পাবেন কি পাবেন না, এ নিয়ে বর্তমানে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকুন। নিজের কাজের পরিকল্পনা করুন।
- আবার অনেকের উচ্চতা ভীতি রয়েছে, তাদের উচিত একটু একটু করে মনকে প্রস্তুত করা। এক্ষেত্রে কিছু থেরাপি নিতে পারেন। প্রতিদিন এক্সারসাইজ করা যেতে পারে।
- অনেকেই ভয়কে তেমন গুরুত্ব দেন না। কিংবা চেপে রাখেন। এর ফলে একাকিত্বের মুহূর্তে সেটি আবারও জেঁকে বসতে পারে। তাই ভয়কে চেপে না রেখে ভয়ের কথা আপনার আশেপাশের মানুষকে খুলে বলুন। দেখবেন অনেকটাই কেটে যাবে।
- অনেক সময় একটি কাজ খুব কঠিন মনে হতে পারে। পুরো কাজটিতে হয়তো আপনি একবারেই সফল হবেন না। এক্ষেত্রে কাজটিকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে ফেলুন। ধাপে ধাপে কাজটি করলে কাজটি সহজ হয়ে যাবে। ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো অর্জন করার ফলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং এই আত্মবিশ্বাস আপনাকে কাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।
- অনেকে আছে কাজ শুরু আগেই ভয় পান। কাজ শুরুর সময় যারা ভয় পান তাদের ভয়ের অন্যতম মূল কারণ নেতিবাচক ভাবনা। যদি আমি সফল না হই, এ ধরনের চিন্তায় কাজ শুরুই করেন না অনেকে। তাই সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। আপনি কাজটা করতে পারবেন এবং সফলতা আসবে সেই চিন্তা করুন। দেখবেন ভয় কেটে যাবে।