বিয়ে জীবনের গুরত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিয়ের পর দায়িত্ব বাড়ে। সংসারের♎ চাপ আসে। সঙ্গীর প্রতি, পরিবারের প্রতি যত্নশীল হতে হয়। পাশাপাশি সন্তান লালন পালনের মতো গুরু দায়িত্ব তো রয়েছেই। তাই বিয়ের পরের জীবন রোমাঞ্চকর হলেও নানা চাপের কারণে মানসিক অশান্তিতে ভোগেন অনেকে। অনেকেই বিয়ের আগে এসব বিষয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন না। বিয়ের পরের বাস্তবতায় পরে নিজেকে অসহায় ভাবতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিষন্নতা দেখা যায়। সংসার জীবন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে চান অনেকে। তাই বিয়ের আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। কী করতে হবে, এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো।
পরামর্শ নিন
অভিজ্ঞ দম্পতিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারে। বিয়ের আগেই তাদের সঙ্গে সংসার জীবনের নানা দিন নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। ধারণা হয়ে যাবে, আপনার দায়িত্ব কতটুকু বাড়বে। তবে অবশ্যই আদর্শ ও সুখী দম্পতির কাছ থেকেই পরামর্শ নিবেন। অসুখী দম্পতির কাছ থেকে পরামর্শ নিলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। সুখী দম্পতির 🌟কাছ থেকে জেনে নিন, কীভাবে বিবাহি𝓡ত জীবনে সুখী হওয়া যায়।
কাউন্সিলিং করুন
বিয়ের আগে মনে নানা রকম ভয় হতে পারে। নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো সহজ কথা নয়। তাই ভয় হওয়াটাই স্বাভাবিক। এক্ষ𝓀েত্রে বিয়ের নেতিবাচক বিষয় নিয়ে কাউন্সিলরের পরামর্শ নিন। কারণ নেতিবাচক ধারণা নিয়ে বিয়ে করলে আপনি সুখী 🍒হবেন না। তাই কাউন্সিলিং করুন, প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নিজের করে নিন
বিয়ের পর সবকিছুকে নিজের করে নিতে হবে। এই মানসিকতা আগেই তৈরি করে নিন। বিয়ের পর 𝄹স্বার্থপরতার কোনো মূল্যায়ন নেই। পরিবারের সবাইকে নিজের করে নিতে হবে। জীবনসঙ্গীকে সম্মান ও মর্যাদা দিন। আপনিও তেমনটিই পাবেন। নিজের অহংকার ও আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে ব𒈔েরিয়ে আসুন।
আর্থিক স্বচ্ছতা
বিয়ের পর আর্থিক স্বচ্ছলতা সুখী জীবনের অন্যতম শর্ত। সঙ্গীর আর্থিক স্বচ্ছলতা কেমন তা বিয়ের আগেই জেনে নিন। সঙ্গীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথꦛা বলুন। সবকিছু জেনেই এরপর বিয়ের জন্য প্রস্ত🌟ুত হোন।
সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা
সঙ্গীর সঙ্গে যতটা সম্ভব খোলাখুলি কথা বলে নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে ক🐎থা ൩বলে নিতে পারেন। এতে সঙ্গীর মনের কথা জানতে পারবেন। সেই অনুযায়ী আপনিও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন। সঙ্গীর কোনো পরিকল্পনা না থাকলে, দুজন মিলেই সন্তানের বিষয়টি ঠিক করে নিন। এতে বোঝাপড়া গভীর হবে।
নমনীয় হোন
বিয়ের পর মতের অমিল হতে পারে। পারিবারিক বিষয় নিতে মতবিরোধ হতে পারে। ওই সময় আপনাকে নমনীয় থাকতে হবে। এই বিষয়ে আগেই🎃 মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। কোনো বিষয় নিয়ে আক্রমণাত্মক হতে যাবেন না। বরং নি♔জের নমনীয়তা দিয়ে সবার মন জয় করার চেষ্টা করতে হবে।
নিজের সীমানা বুঝুন
নতুন মানুষের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। নিজেদে𝓰র কিছু বিষয় ব্যক্তিগত থাকতেই পারে। এই বিষয়ে আগেই জেনে নিন বা জানিয়ে রাখুন। কোন কোন 🥀বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করা যাবে কিংবা যাবে না, তার সীমানা ঠিক রাখুন। এতে বিয়ের পরের অশান্তি অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও জীবনসঙ্গীর কোনো সিদ্ধান্ত আপনার উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন কি না কিংবা স্বাধীনভাবে চলাচলের সুযোগ পাচ্ছেন কিনা তাও আগেই জেনে নিতে পারবেন। এতে আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।
বন্ধুত্বতা ও বোঝাপড়া
জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বন্ধু হয়ে থাকুন। সব বিষয় শেয়ার করতে পারেন। ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হবে। নিজেও মানসিক শান্তি পাবে﷽ন। এমন কোনো বিষয় গোপন রাখতে যাবেন না, যা পরবর্তী সময়ে ঝামেলা হতে পারে। বিয়ের আগেই এই বিষয় মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। সংসারে শান্তি থাকবে।
সূত্র: ওয়েডিং ওয়্যার