আবেগের বহিঃপ্রকাশ হলো হাসি। আনন্দ, ভালোলাগা সবকিছুই প্রকাশিত হয় হাসির মাধ্যমে। আর হাসলে মনও ভালো থাকে। সারা দিনে যদি আপনি হাসেন আর মন ভালো রাখেন, তবে অনেকটা সুস্থই থাকবেন। হাসি শরীর ও মন ভালো রাখে। ম൩ানসিক চাপ কমায়। হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। এছাড়াও হাসার উপকা♏রিতা অনেক। সবসময়ে গম্ভীর হয়ে না থেকে, বরং হাসুন। আর হাসতে হাসতেই জেনে নিন মন খুলে হাসলে শরীরে যে যে পরিবর্তন হয়-
*হাসির কারণে আপনার শরীর অধিক বাতাস গ্রহণ করে। ফলে রক্তে বেশি পরিমাণে অক্সিজ🦩েন প♈্রবাহিত হয় এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি সংক্রমণজনিত অসুখবিসুখও দূরে থাকে।
*মানুষের জীবনে নানান রকম সমস্যা যেগুলো মানুষকে অনেক সময়েই বিষন্ন করে তুলে। তাই মানসিক চাপ কমাতে হাসুন। প্রাণখোলা হাসি মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কমিয়ে দেয়। চিকিৎসকে🍒রা বলেন, হাসলে ‘স্ট্রেস হরমোন’ কর্টিসোল ও এপিনেফ্রিনের ক্ষরণ কমে যায়। বদলে সুখী হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে মানসিক চাপ স্বাভাবিক নিয়মেই কমে যায়।
*হা🃏সি, বিশেষ করে অট্টহাসি এন্ডো♋রফিন নামক রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটায়, যা আমাদের ব্যথার অনুভূতি কমায়।
*হাসলে হার্টে রক্ত ও অক্সিজেন চলাচল সঠিক নিয়মে হবে। হৃদ্পেশিগুলির ব্যায়ামও হবে। ফলে হার্টের রোগ🌳ের ঝুঁকি অনে🐟ক কমে যাবে। রক্তচাপও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
*যারা হাসি-খুশি থাকেন🍨, তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গোমড়ামুখোদের চেয়ে বেশি থাকে।
*যখন আম🌳রা হাসি, তখ💝ন আমাদের শরীর থেকে ‘ফিল-গুড হরমোন’ বা ভালো বোধ করার হরমোন এন্ড্রোফিন নির্গত হয়, যা আমাদের পুরো শারীরিক ব্যবস্থার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
*‘সাগা’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, সারাদিন হাসিখুশি থাকলে এবং খারাপ চিন্তাকে গুরুত্ব না দিলে আমাদের শরীরের ভিতরে এম♔ন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ত🤡ার প্রভাবে আয়ু বৃদ্ধি পায়।
*কেউ যদি এক মিনিট সময় হাসেন, এতে শরীর থেকে যে পরিমাণ ক্যালরি পুড়বে, সেটা ট্রেডমিলে ৬ থেকে ১০ মিনিট হাঁটার সমান। অর্থাৎ যদি আপ🧜নি নিয়মিত হাসেন তবে ওজন কমানোর জন্য ෴আর অন্য কসরত করতে হবে না। তাই নিয়মিত হাসুন।