নোয়াখালীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতඣে শুরু করেছেন দুর্গত এলাকার মানুষ। তবে বাড়ি 🅰ফিরে বসতঘরের অবস্থা দেখে ভেঙে পড়ছেন অনেকে। ঘরে পানি থাকায় অনেক আবার ফিরে যাচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। অনেকে আবার পানির মধ্যেই কোনোমতে নিজ ঘরে থাকার ব্যবস্থা করতে কাজে নেমে পড়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসের বুধবারের (৪ সেপ্টেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, নোয়াখালীতে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৩০০ মানুষ এখনো পানিবন্দী। ৯০১টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮৮ জন। জেলায় ২২০টি ঘর পুরোনো এবং ৫ হাজার ঘর আংশিক ক্ষতিগ্ไরস্ত হয়েছে। সরকারি ১২৪টি ও বেসরকারি ১৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মৃতের সংখ্যা ১১ জন।
সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ ৪৫ লাখ টাকা, ১ হাজার ৭১৮ মেট্রিকটন চাল, এক হাজার প্যꦐাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৫ লাখ টাকার গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে চলমান বন্যা নিয়ে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) অক্সফাম বাংলাদেশ প্রকাশিত জরুরি চাহিদা নিরূপণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোয়াখালী ও ফেনী জেলায়। দুই জেলার ৯০ 𓆏শতাংশের বেশি মানুষ বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে ৪৮ শতাংশ বাড়িঘর। এছাড়া দুই জেলার পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির সুবিধা শতভাগ অচল হয়েছে।