দ্বিতীয় ম🅘েয়াদে ক্ষমতা নিয়েই অভিবাসন নীত✃িতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করবেন। যার মধ্যে ১৮ হাজার অভিবাসীই ভারতীয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তর꧑াষ্ট♍্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা। ইতোমধ্যে অভিবাসন নীতিতে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান ঘোষণার পর নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হচ্ছেন ভারতীয় নাগরিকরা। দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক সংস্থা (আইসিই) ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকাভুক্ত করল। যে তালিকায় ভারত ছাড়াও রয়েছে ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া এবং ভেনেজুয়েলা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৬১ হাজার অবৈধ অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে হন্ডুরাস। এরপর গুয়াতেমালার রয়েছে ২ লাখ ৫৩ হা൲জার অবৈধ অভিবাসী।⛄ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চীন। আর ভারত রয়েছে ১৩তম স্থানে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে, আইসিই’র ‘অসহযোগী’ তালিকা এমন একটি তালিকা যেখানে উল্লেখিত দেশগুলো প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা করে না বলে মনে করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তালিকায় থাকা দেশগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদে💜র ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এনডিটিভি ও দ্য ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, আসছে জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন নীতি কঠোর করার অঙ্গীকার করেছিলেন। ট্রাম্প মূলত, যুক্তরাষ্ট্র💦ের ইতিহাসে বৃহত্তম প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া পরিচালনার পরিকল্পনা করেছেন।
ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মাধ্যমেই হাজার হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। যদিও অনেক ভারতীয় অভি🌼বাসী যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবস্থান বৈধ করার চেষ্টা করছে। তবে বৈধতার আবেদন নিষ্পত্তিতে দু-তিন বছর সময় লাগতে পারে।