সাত বছরের ছোট্ট মেয়ে তাহিয়া। খুনসুটিতে মাতিয়ে রাখত সারা বাড়ি। মা-বাবার কলিজার ধন তাহিয়া ছিল দাদা-দাদিরও চোখের মণি। তাহিয়ার সপ্তম জন্মদি🌟ন ছিল ১০ ডিꦅসেম্বর।
দিনটিতে কত কী করবে𒁃 বলছিল। রাজমিস্ত্রি বাবাও মেয়েটার শখ-আহ্লাদ পূরণের কমতি রাখছিলেন না। প্র🐼তিবারের মতো এবারও তাহিয়ার জন্মদিন উদযাপনে তার মা, দাদা- দাদির সঙ্গে কেনাকাটার হিসাব কষে ৯ ডিসেম্বর রাতে। এরপর ঘুমিয়ে পড়ে।
পরদিন মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সবাই যার যার মতো কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরনাসিপুর গ্রামের প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া তাহিয়াও দুপুরের খাবার-দাবার সেরে বিকেলে সবার সঙ্গে খেলাধুলায় মশগুল হয়। এরপর তাকে না দেখে খোঁজ করতে থাকেন 📖মা-বাবা। কিন্তু তার খোঁজ মেলেনি।বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়, সারা বাড়𒈔ি, আশপাশ তন্নতন্ন করে খোঁজা হয় তাহিয়াকে। রাত গড়ালেও মেয়েটার কোনো হদিস মেলে না।
স্থানীয়দের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে পরদিন বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কোতয়ালী থানার পুলিশ সেখানে যায়। এক পর্যায়ে তাহিয়াদের পাশের দূর সম্পর্কের দাদা হায়দার আলীকে (🅷৫৫) সন্দেহ করা হয়। তখন পুলিশ তার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে মাচার নিচ থেকে বিদ্যুতের তার দিয়ে পেঁচান𝐆ো অবস্থায় তাহিয়ার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে।
হায়দার আলী শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যাඣ করেছেন সন্দেহ থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। পুলিশ সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা হায়দার আলীকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে পুলিশ তাহিꦡয়া ও হায়দারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জন্মদিনেই যে ঘাতক তা🧸হিয়ার প্রাণ কেড়ে নেবে, সে কথা ভাবতেই ডুকরে কেঁদে উঠছেন তার মা-বাবা। স্বজনরা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না, এইটুকু মেয়ে এমন পাশဣবিকতার শিকার হবে।
তাহিয়ার বাবা বলেন, “আমার এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ে বড়, অনেক আদরের ছিল। ছোট একটা শিশুকে একটা মানুষ মারতে পারে, তা চিন্তাও করতে পারছি না। জীবনে আমি𝓰 আমার মেয়েকে আর ফ🦂িরে পাব না। আমাকে বাবা বলে আর ডাকবে না। এ কষ্ট কোথায় রাখব?”
সরেজমিনে চরনাসিপুরে গিয়ে কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে𒁏। তারা বলছেন, হায়দার আলীই তাহিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন বলে তারা মনে করছেন। সেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেয়েটিকে বস্তাবন্দি করে লাশ গুম করার ཧজন্য মাচার নিচে রাখা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান তখন বলেন, 🌊“নিখোঁজ মেয়েটির খোঁজে তদন্তে নেমে পাশের বাড়ির হায়দার আলী নামে এক ব্যক্তিকে সন্দেহ হয়। পরে তার ঘরের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে একটি বস্তার ভেতরে বিদ্যুতের তার দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় তাহিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা। তিনি বলেন, “হত্যার আগে শিশু༒টিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রস্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚতুতি চলছে।”
এবিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইউনুস আলী বলেন, “শিশু তাহিয়ার গোপনাঙ্গের ব্লাডিং (রক্ত) দেখে প্রাথমিকভা💙বে ধর্ষণের আলামত হিসেবে মনে হয়েছে। ম📖েয়েটি হত্যার আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এটা বলা যেতে পারে। তবে, কে ধর্ষণ করেছে এসব ম্যাচিংয়ের ব্যাপার রয়েছে, তাই বিস্তারিত এখনই বলা যাচ্ছে না।”