• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


হাসপাতালে আসেননি ৪১ চিকিৎসক, বিপাকে রোগীরা


খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
হাসপাতালে আসেননি ৪১ চিকিৎসক, বিপাকে রোগীরা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, আরএমওসহ ৪১ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ৪১ চিকিৎসক ꦅহাসপাতালে আসেননি।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ 𒊎আগস্ট) কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষ💝ণা করেন।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। বিশেষ করে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেಞশি। চিকিৎসক না পেয়ে অনেকে দূর-দূ൲রান্ত থেকে এসে ফিরে গেছেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক✅্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মোস্তফা কামাল। এরপর তিনি দুটি কাগজ ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের সামনে দেন। একপর্যায়ে তাকে চাপ ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে গণপিটুনি দেওয়ার হুমকি দিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন, যার একটি ছিল আক্তারুজ্জামানের পদত্যাগপত্র ও অন্যটি হলো ৪১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার।

অবাঞ্ছিত করার ওই কাগজে উল্লেখ করা হয়, হত্যাচেষ্টা, অ🎀কৃতকার্য করার হুমকি, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিয🐷োগে চিকিৎসকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

টিকিট মাস্টার সাবরিনা আক্তার বলেন, স্বাভাবিক দিনের মতোই রোগী এসেছেন। যেহেতু চিকিৎসক–সংকট, এ কারণে গুরুতর রোগীদের অন্য চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হচ্ছে। আর একটু কম গুরুতর রোগীদের আগামী শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আসার জন্য অনুরোধ করে ফেরত পাঠানো হয়ে🌞ছে।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা থেকে আসা আরেফিন বিল্লাহ♒ নামে এক রোগী বলেন, “বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখাতে এসেছি সকাল ১০টার দিকে। দুপুর পার হলেও চিকিৎসক আসেননি। আমি শিক্ষকতা করি, আজ ছুটি থাকায় এসেছি। অথচ এসে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। শুধু আমি নই, অন্য রোগীরাও ফিরে যাচ্ছেন।”

সাদিয়া আফরিন নামে আরেক রোগী বলেন, “ডাক্তার দেখাতে এসেছি সেই সকালে, এখনো দেখাতে পারিনি। আজ তো দেখাতে পারিনি, আগামীকা🌳লও ডাক্তার আসবে কি না জানি না।”

খুলনা ম♔েডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুমন রায় বলেন, “মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকি🥂ৎসকদের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ সময় ডাক্তার মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের ঘিরে রাখে। তারা উপপরিচালককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। আমাদের প্রায় ৪১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!