• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ২৮ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ভারতীয় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বললেন, ‘বল ছোড়া হয়ে গেছে, এখন দায়িত্ব সেটি ধরা’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
ভারতীয় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বললেন, ‘বল ছোড়া হয়ে গেছে, এখন দায়িত্ব সেটি ধরা’
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের রপ্তানিমুখী উৎপাদনের বড় একটি অংশ চলে যেতে পারে ভারতে। এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন ভা🀅রতের অন্যতম গার্মেন্টস শিল্পগোষ্ঠী রেমন্ডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিএমডি) গৌতম সিংহানিয়া। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

গৌতম সিংহানিয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গার্মেন্টস উৎপাদনের বড় একটি๊ অংশ ভারতে চলে যেতে পারে। তিনি বিশ্বাস করেন, তার কোম্পানি এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে প্রস্তুত এবং তারা বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থার জায়গা হয়ে উঠতে চান।

রেমন্ডের সিএমডি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে কাপড় বিক্রি করে। কিন্তু সংকটের কারণে এসব ব্যবসা এখন ফিরে আসছে আমাদের কাছে। একবার যেহেতু এই ব্যবসা আমাদের এখানে এসেছে, আমরা এটাকে আর ফিরে যেতে দিতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, “তাদের (বাংলাদেশের) কাপড় উৎপাদনের সক্ষমতা নেই। আমাদের তৈরি পোশাক ও কাপড় তৈরির শিল্প আছে—আর আপনি যখন সমন্বিতভাবে এই খাতে কাꦗজ করবেন, তখন আপনি সফল হবেন। বল ছোড়া হয়ে গেছে, এখন আমাদের দায়িত্ব হলো, সেটা ধরা।”

রেমন্ড গার্মেন্টস উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ২০০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছে। কোম্পানিটি এরই মধ্যে বড় বড় কিছু ক্রেতাকে তৈরি পোশাক সরবরাহ করছে। এ বিষয়ে 🌳গৌতম সিংহানিয়া বলেন, “আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক প্রস্তু♑তকারক। আমরা বছরে ১ কোটি পিস পোশাক তৈরি করি।”

এ সময় তিনি জানান, তাদের আগে থাকা দুই শীর্ষ তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী কোম্পানি চীনের। এই কোম্পানি দুটি♛ অনেক বেশি সস্তায় বিপুল 🦄পরিমাণ কাজ উৎপাদন করে। তবে সব মার্কিন গ্রাহকেরা আমাদের সঙ্গে আছে। উদাহরণস্বরূপ, আমরা হিউগো বস, সিকে, ম্যাকি’স, জেসিপেনির কথা বলতে পারি।’ 

এর আগে, কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির মহাসচিব চন্দ্রিমা চ্যাটার্জি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলে🐟ছিলেন, ‘পশ্চিমা কোম্পানিগুলো ভারতকে একটি বিকল্প হিসেবে দেখছে। কিন্তু সরবরাহ করার ক্ষমত𒆙ার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। এই মুহূর্তে ভারতীয় ও বাংলাদেশি পণ্যের অফারগুলোর মধ্যে গুণগত ও পরিমাণগত পার্থক্য আছে।’ 

চন্দ্রিমা চ্যাটার্জি জানান, ভারতেও কিছু ক্রয়াদেশ যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে গার্মেন্টস ও ফুটওয়্যার শিল্পের জন্য কিছু কাঁচামাল রপ্তানি কমে যাওয়ায় পুরো বিষয়টির ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব নেতিবাচক হয়েছে। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় পোশাক খাতের এক নির্বাহী বলেন, বাংলাদেশে চলমান সংকটের আগে থেকেই পশ্চিমা কোম্পানিগুলো ভারতের দিকে নজর রেখেছিল। ইউরোপীয়রা বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যুতে ক্রমশ উদ্বিগ্ন, তাই ভা꧟রতের বাজারের দিকে তাকিয়ে আছে। 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অস্থিরতা কিছু সময় আগে শুরু হলেও ক্রয়াদেশ ভারতে সরানো হয়নি। সেগুলোর বেশির ভা💧গই যাচ্ছে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায়। ভারতে অনেক সুযোগ আছে, কিন্তু আমাদের পণ্যের গুণগত অবস্থান বদলাচ্ছে না এবং এর ফলে আমরা সুবিধাও হাসিল করতে পারছি না।’

এদিকে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাসসহ নানা দাবি𝓀তে সোমবার বিক্ষোভ করেছেন। ডিইপিজেডের সামনে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ♏কর্তৃপক্ষ ৩৫ থেকে ৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে।

Link copied!