ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্꧙থানের পর প্রধানমন্ত্রী পদ ত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এতে আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনের অবসান হয়েছে। সারা দেশ যখন সহিংস আন্দোলনের ক্ষত বহন করছে, তখন🐽 ভিন্নচিত্র দেখা গেছে শেয়ারবাজারে।
শেখ হাসিনার পতনের পরপরই ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারব💙াজারে বিদেশি বিনিয়ো🌠গ। বিদায়ী আগস্টের প্রথমার্ধে বৈদেশিক শেয়ার লেনদেন পুরো অর্থবছরের ২৬২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যা আগের পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।
মূলত, কয়েক বছরের ধারাবাহিক মন্দার পর দৃশ্যপটের এমন বদলে আশার সঞ্চার হয়েছে শেয়ারবাজারে। দেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও বেড়ে চলেছে🍨।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনের অবসান শেষে দেশের পুঁজিবাজা🦋রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের ভাষ্যমতে, নোবেল বিজয়♐ী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি ব🥀িনিয়োগকারীদের মাঝে বাজারে আস্থা বেড়ে গেছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহাম🧸ারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের অস্থিরতা, কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম ধরে রাখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ফ্লোর প্রাইস আরোপসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশি বিন🌌িয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে এতদিন নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টার্নওভার এবং সূচক দুটোই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এরপর ১১ আগস্ট পর্যন্ত ৪টি ব্যবসায়িক সেশনে বেঞ্চমার🧸্ক সূচক ৭৮৬ পয়েন্টে উঠেছিল।
ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, ২০১৮–১৯ অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টার্নওভার ছিল আট হাজার ৯১ কোটি টাকা। পরবর্তী অর্থবছরে এ অঙ্ক বেড়ে নয় হাজার ⛦৬৬৪ কোটি টাকা হয়। এরপরের অর্থবছরগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টার্নওভার নিম্নমুখী ছিল। ২০২২–২৩ অর্থবছরে তা দুই হাজার ৯৫৪ কোඣটি টাকায় নেমে এসেছিল।
গেল আগস্টের প্রথমার্ধে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেন ৫০১ শতাংশ বেড়ে ৪০৪ কোটি ৮২ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। অথচ এক বছর আগে ১ থেকে ১৫ আগস্ট দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে বৈদেশিক ল🌼েনদেন ছিল মাত্র ৬৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শীর্ষ স্থানীয় ট্রেডিং ফার্ম ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসানুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগের আকস্মিক বৃদ্ধির ৪টি মূল কারণ চিহ্নিত করেছেন। সেসব কারণ হচ্ছে, ১. নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ে বিদেশিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। ২. ব্যাংক খাতের সংস্কার হচ্ছে। ৩. বৈদেশিক মু🅷দ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা আসছে। ৪. মানসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাচ্ছে। এসব কারণে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে।
অথচ শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ফ্লোর প্রাইস আরোপের কারণে বিভিন্ন কোম্পানিতে পূর্বের বিনিয়োগ আটকে য🌠াওয়ায় নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগতো করেইনি, বরং কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে মূলধন তুলে নেওয়ার প্রবণতা ছিল বেশি।
তবে দৃশ্যপটের বদল ঘটায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তারা শেয়ার বিক্রির চেয়ে মৌলভি💝ত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এ নতুন বিনিয়োগের কারণে আগস্টের প্রথম ১৫ দিনে লেনদেনের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের প্রধান নির্বাহী আহসানুর রহমান বলেন, “ব্যাংক খাতের সংস্কারে নতুন সরকার ভালো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়েছ♛ে। এসব কারণে পুঁজিবাজারে শেয়ার কিনতে বিদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।”
আগস্টের পুরো মাসের হিসেবে বিদেশিদের শেয়ার লেনদেন যেকোনো সময়ের একক কোনো মাসকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন ꦫ👍আহসানুর রহমান।