• ঢাকা
  • শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২৬ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দিনে ঝলমলে রোদ, সন্ধ্যায় তীব্র শীত


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
দিনে ঝলমলে রোদ, সন্ধ্যায় তীব্র শীত
শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। ছবি : প্রতিনিধি

দেশের সর্ব উত্তর জেলা পঞ্চগড়ে সপ্তাহজুড়ে পাঁচ থেকে ছয় ডি👍গ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশা না থাকলেও তীไব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোর ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিল ৬ দশম꧟িক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

২৩ 🌊জানুয়ারি থেকে এ জেলায় মৃদু, মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে।

তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্য🅠াবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ৬ টা ও ৯ টা পর্যন্ত) তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, তিন দিন ধরে সকালে দেখা মিলছে সূর্যের। রোদ ঝলমলে সকাল হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গ🌠ে সঙ্গে বাতাসের তীব্রতা বাড়তে থাকে। যার ফলে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়। শহরের যানবাহন কমে যায়। লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়াজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষদের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে। এছাড়া দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন গৃহপালিত ও বন্য প্রাণীরাও।

শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে গরম জামাকাপড়ের ﷽কদর বেড়েছে।

ꦺসিএমবি এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী রাকিব বলেন, এ বছরে দেরিতে শীত পড়লেও এই সপ্তাহে বেশি শীত পড়ছে। মূলত বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানไ বন্ধ থাকলে সকাল ৭টা থেকেই স্কুল, কোচিং, প্রাইভেটে যেতে দেখা গেছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের।

শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। কামাই-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অভাবে ওষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার রাজিউল করিম রাজু বলেন,“শৈত্যপ্রবাহের ফলে অন্য সময়ের তুলনায় এখনকার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচꦕ্ছে।”

শিশুদের বাসি খাবার পরিহার করা, পরিস্কার ও ফুটানো পানি পান ক🐻রানোর জন্য অভিভাবকদের♛ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

Link copied!