• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


এখনো আঁখির সঙ্গে কথা বলেন না প্রতিবেশীরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ১২:১৮ পিএম
এখনো আঁখির সঙ্গে কথা বলেন না প্রতিবেশীরা

সাফজয়ী নারী ফ𒈔ুটবল দলের রক্ষণভাগের অন্যতম ভ⛎রসার নাম আঁখি খাতুন। মেয়েদের ‘কায়সার হামিদ’ খ্যাত এই ডিফেন্ডারের উঠে আসার গল্পটা অন্য সবার মতোই বেশ কঠিন। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেললেও এখনো প্রতিবেশীদের কাছে হেনস্তার শিকার হন এই ফুটবলার। এখনো প্রতিবেশীরা তার সঙ্গে কথা বলেন না।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পারকোলা গ্রামে জন্ম ও বেড়ে ওঠা আঁখি খাতুন﷽ের। মা-বাবা ও ভাইকে নিয়ে পুরো পরিবার। আঁখির ছোটবꦛেলা থেকেই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন। এমন সব পরিস্থিতি সামলেই স্কুল ও অনুশীলন করেছেন তিনি। কখনোই সমর্থন করেনি তার প্রতিবেশীরা। এমনকি এখনো  প্রতিবেশীদের সঙ্গে লড়াই করছেন।

পরিবারের সমর্থন পেলেও বংশের লোকদের বিরোধিꩵতার মুখোমুখি হতে হয়েছে এই ডিফেন্ডারকে। এই নিয়ে তিনি বলেন, “ফুটবল খেলতে পুরো পরিবারের সমর্থন ছিল। তাদের জন্যই এত দূর আসতে পারছি। কিন্তু বংশের অন্যরা আমাকে অনেকভাবে বাধা দিয়েছে।”

বংশের লোকদের কাছে বাধা পেলেও গ্রামের অনেকেও তার পাশে থাকেন বলে জানান আঁখি। বলেন, “আমাদের সঙ্গে বংশের অন্যরা কথা বলে না। তবে গ্রামের অনেকে আমাদের পাশে আছে। বংশের লোকজন এখনো চায় না, আমি 👍ভালো কিছু করি। শুধু পরিবারই আমার ভালো চায়।”

সা🤡ফ চ্যাম্পিয়ন জিততে বড় ভূমিকা রাখা আঁখি প্রথম নজর কাড়েন ২০১৭ সালে। সেবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের🌄 অনূর্ধ্ব-১৫ আসরে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রক্ষণ সামাল দিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। দারুণ সেই পারফরম্যান্সে জিতে নিয়েছিলেন টুর্নামেন্টের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল’ খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

ছোটবেলা থেকেই মাকে অসুস্থ দে🔯খছেন ডিফেন্ডার আঁখি। খেলোয়াড়ি জীবনের শু🐲রুতে তার অসুস্থ মাকে দেখার মতো কাউকে পাননি বলেও জানান।  

আঁখি বলেন,ౠ “আমার ছোটবেলা থেকেই মায়ের শরীর ভালো না। প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকে। অনুশীলনে যাওয়ার সময়ে অন্যদের বলে যেতামে মাকে একটু দেখতে। কেউ দেখত। বাসায় এসে দেখা যেত, মা নিচে পড়ে আছে। আমাদের এখানে কেউ মারা গেলেও তারা আসবে না।”

কঠিন মনোবলের সঙ্গে লড়াই করে বড় হওয়া আঁখি খাতুন ফাইনালেও ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথমার্ধে নেপালের বড় তারকা সাবিত্রা ভাণ্ডারি না খಞেললেও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন। তাকে আটকাতে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেরাই পরিকল্পনা বদল করেছিলেন বলে জানান আঁখি খাতুন।

তিনিই বলেন, “সাবিত্রা (ভাণ্ডারি) অনেক ভালো খেলোয়াড়। ওর সঙ্গে0 খেলার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে যখন শুনছি ও মাঠে নামবে অনেꦜক নার্ভাস হয়েছিলাম। তারপরও নিজেদের পরিকল্পনা বদলে ফেলি। একজন ডিফেন্স করবে আরেকজন কাভার করবে।”

প্রতিবেশীদের কাছে নানা কট🙈ুকথা শোনার পরও নিজেকে আটকে রাখতে চান না আঁখি খাতুন। প্রতি✃বেশীদের কটুকথায় আটকে না থেকে পুরো দেশের জন্য লড়াই করতে চান।

এই প্রসঙ্গে আঁখি বলেꩵন, “মানুষের কথা শুনতে ღশুনতে অভ্যাস হয়েছে। এখন আর এই সব নিয়ে ভাবি না। পুরো দেশকে নিয়ে ভাবি ও ভাবতে চাই।”

Link copied!