• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ঢাবি ছাত্রীকে শিক্ষক, ‘আপনার স্বামী তো আর্মিতে, সময় দিতে পারে না, চলেন পরকীয়া করি’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
ঢাবি ছাত্রীকে শিক্ষক, ‘আপনার স্বামী তো আর্মিতে, সময় দিতে পারে না, চলেন পরকীয়া করি’
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনসুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ বিন আমিরের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী🐎কে হেনস্তা, কুৎসা রটানো, অপেশাদার আচরণসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরকীয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তাকে শিক্ষকতার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে আন্দোলনে রয়েছেন বিভাগটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া স্মারকলিপির দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের।

স্মারকলিপিতে বিভাগটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন—শিক্ষক খালেদ বিন আমির বিশ্ববিদ্যালয়-বহির্ভূত নারী কেলেঙ্কারি, অনুষদের অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, অযাচিত কটূক্তি, বিভাগের নারী সহকর্মীর নামে ছাত্রদের সামনে কটূক্তি▨, সহকর্মীদের নামে কুৎসা রটানো, পাঠদানে অপারগতা, অপ🐓েশাদার আচরণ করেছেন। ইতোমধ্যে এ বিষয়ক যথেষ্ট প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব অপরাধের দায়ে শিক্ষকতার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, “আমরা বিভাগে অভিযোগ প্রমাণাদিসহ ২৭ আগস্ট স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। এর আগে ২৫ আগস্ট বিভাগকে ৩ কার্যদিবসের  আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল অ💛ভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারপর ২৮ আগস্ট থেকে অভিযুক্তের পদত্যাগের দাবিতে আমরা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিই।”

বিভাগটির সাবেক এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার প্রমাণাদি রয়েছে শিক্ষাবিষয়ক নিউজ পোর্টাল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের 🧸হাতে।༺ বর্তমানে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

পরকীয়ার প্রস্তাবে ওই ছাত্রীকে খালেদ বিন আমির𒆙 𝐆তখন বলেছিলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক থাকাকালীন তিনি আমার সাথে এবং অন্যান্য অনেক সিনিয়রদের সাথে একই কাজ করেছিলেন। সে জন্য আমার তাকে ব্লক করতে হয়েছিল। ‘‘তিনি বলতেন—আপনার স্বামী তো আর্মিতে, ওরা তো টাইম দিতে পারে না, আমার বউও ডাক্তার, আমাকে টাইম দিতে পার না।” তিনি প্রায় সরাসরি আমাকে পরকীয়া এবং সাক্ষাতের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অসহ্য লোক একটা।’

বিভাগ তথ্য বলছে, শিক্ষার্থীদের অশালীন মন্তব্য করে বিব্রত করাই যেন ঢাবির এই শিক্ষকের কাজ। বিশেষত নারী শিক্ষার্থীদের তার কাছে বিব্রত হতে হয় ব্যাপক𒐪ভাবে।

এ নিয়ে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বিভাগটির এক ছাত্রী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একদিন খালেদ বিন আমির স্যার অনলাইনে বিজনেস ম্যাথের এক ক্লাসে শিক্ষার্থীদেরক🤪ে ক্যামেরা অন করতে বলেন। একেবারে ভোরে ক্লাস হওয়াতে শিক্ষার্থীরা অপ্রস্তুত থাকায় অনেকেই ক্যামেরা অন করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ড. আমির মন্তব্য করে বসেন, ‘তোরা কীভাবে ক্যামেরা অন করবি, তোরা তো কম্বলের নিচে নগ্ন হয়ে শুয়ে থাকিস।’ ফলে সেই দিনের ক্লাসে অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থী লিভ নিতে বাধ্য হন। 

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সা♑ইফুদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলে আমরা চেয়ারম্যানকে অবগত করব সমাধান করার জন্য। চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করতে না পারলে ডিন মহোদয়কে আমরা জানাব। সেখানে আমরা একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করব, সেখানে থাকবে আইন বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য। এর পরেও না  হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি হস্তান্তর করব।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক খালিদ বিন আমিরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার সঙ্গে 🐎কথা বলা সম্ভব হয়নি। সূত্র : দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস

Link copied!