• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই মানসিক ট্রমায় ভুগছেন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই মানসিক ট্রমায় ভুগছেন

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীসহ বꦅিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ মানসিক ট্রমায় ভুগছেন। যা স্বল্প মেয়াদি থেকে দীর্ঘ মেয়াদি মানসিক সমস্যা তৈꦑরি করতে পারে বলে জানিয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘আঁচল ফাউন্ডেশন’। তাই আক্রান্তদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় এবং সঠিক ইকোসিস্টেম নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারের প্রতি ছয়টি প্রস্তাবনা রেখেছে সংগঠনটি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে🌸 আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষকে এ ব🐭িষয়ে সচেতন করতে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তারা।

প্রস্তাবনাগুলো হলো মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকে গণমানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য অভিজ্ঞ মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলো উদঘাটন করে সমাধানের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যেসকল ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তাদের তালিকা তৈরি করে মানসিক সেবা প্রদান করা, আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যকে সরকারি/বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মা♔নসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান নিশ্চিত করা, প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী এবং মনোবিজ্ঞানী/মনোচিকিৎসক এই দুইয়ের সমন্বয় করে সকল জেলা-উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে একটি মানসিক স্বাস্থ্য কর্নার তৈরি করা, প্রয়োজনে এলাকা ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবার ট্রেনিংয়ের আওতায় এনে দক্ষ জনবলে রূপান্তর করা এবং প্রয়োজনে তাদের মাধ্যমে স্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সচল রাখা; স্কুল, কলেজ, আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের জন্য ট্রমা রিকভারির কর্মশালা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা, সরকারি উদ্য🤪োগে একটি ‘হটলাইন সেবা’ চালু করা এবং একটি গবেষণা সেল গঠন করা এবং বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহার করে সেবা প্রদান পরবর্তী পুরো সময়ের গবেষণালব্ধ তথ্য জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহজাবিন হক বলেন, “আন্দোলনে আহত বা প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই মানসিক ট্রমায় ভুগছেন। যার মধ্যে অনেকেই বিভিন্নভাবে আমাদের থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু বৃহৎ পরিসরে ꧂তাদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের মধ্যে আমরা এমন রোগীদের পাচ্ছি যারা কিনা আন্দোলনের পর আর ঘুমাতে পারছেন না। বারবার বন꧑্ধু বা আশেপাশের মৃত্যুর স্মৃতিগুলো তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।”

সংগঠনটির সভাপতি তাহসেন রোজ বলেন, “আমরা দেখেছি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা-শহীদ পরিবারকে সহায়তা, শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এখানে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যথাযথ মনোযোগ প্রদান না করলে, এ প্রবণতা আমাদের সামাজিক কাঠামো এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
 

Link copied!