বিয়ে মানেই সোনার গয়না পরে নতুন বধুর সাজ। মাথা থেকে গলা অবধি সোনার গয়নায় মুড়িয়ে থাকে নববধু। তবে সোনার গয়না পায়ে জড়ানো হয় না। ভেবে দেখেছে♎ন, এমনটা কেন করা হয়?
বিয়েতে বর ও কনে উভয়েই সোনার গয়না দিয়ে সাজে। ছেলেরা আংটি, বোতামে স্বর্ণ মুড়িয়ে নেয়। আর মেয়েরা তো নেকলেস, দুল, নোলক, বাউটিসহ সবকিছুই সোনার বানিয়ে থাকে। কারণ সামাজিক রীতি মতে, সোনা♛ সমৃদ্ধির প্রতীক। তাই বিয়ের মতো শুভ কাজে সোনার গয়না পরতেই হয়। তবে শুধু বিয়েতেই নয়, দৈনন্দিন জীবনেও সোনার বানানো গয়না পরার চল রয়েছে। মধ্য বয়সী নারীরা সোনার তৈরি হালকা গয়না পরে থাকতে পছন্দ করেন। তবে খেয়াল করলে দেখবেন, পায়ে কখনও সোনার তৈরি গয়না পরা হয় না। পায়ের অলংকার নূপুর কিংবা আংটি সোনার না বানিয়ে রুপা দিয়েই বানানো হয়। এর পেছনে কারণ কী জানেন?
বিশেষজ্ঞরা জানান, সোনাকে সম্মান এবং সমৃদ্ধির সঙ্গে ⛄তুলনা করা হয়। যা পায়ে পরা অপমানজনক বলে মনে করা হয়। তবে অনেকের ধারণা, পায়ে সবচেয়ে বেশি ধুলোবালি লাগে। ময়লা হয়। এতে দামী সোনার গয়না সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে♛। আবার হারিয়ে যাওয়ারও সম্ভবনা থাকে। তাছাড়া দামী সোনার তৈরি গয়না পায়ে পরলে এর সৌন্দর্যই ঢেকে যাবে। সেই কারণেই শরীরের উপরের অংশ অর্থাৎ হাত, গলা, কান, নাকে সোনার গয়না পরা হয়। আর পায়ে সোনার গয়না না পরে রূপার গয়নাই বেছে নেন নারীরা।
এদিকে এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কারণও জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, সোনা তাপ এবং বিদ্যুৎ পরিবাহী। পায়ে সোনার গয়না পরলে শ🍨রীরে শক্তির প্রবাহ ব্যাহত হয়। পায়ের তাপমাত্ꦇরা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা শারীরিক অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাছাড়া সোনা নরম ধাতু। পায়ে ক্রমাগত ঘর্ষণের কারণে এর গুণগত মানও নষ্ট হতে পারে। এই কারণেই পায় রূপার গয়না পরা হয়। কারণ রূপা নেতিবাচক শক্তি শোষণ করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এতে ঘুম ভালো হয় এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও ইতিহাস বলছে, প্রাচীনকাল থেকেই পায়ে গয়না পরার রীতিꦦ নেই। বিভিন্ন গ্রন্থে রাজাদের শরীরের উপরের অংশেই সোনার গয়না পরার বর্ণনা রয়েছে। আর পায়ে সোনার গয়না পরা খারাপ আচরণ হিসাবে গণ্য করা হতো। তাই ঐতিহ্যগতভাবেই পায়ে সোনার গয়না না পরার রীতি চলে আসছে।