বিশ্বজুড়েই প্যাকেটজাত খাবারের ব্যবহার বাড়ছে। কাঁচা মাংস থেকে শুরু করে কোমল পানীয় পর্যন্ত সবই ভরা হচ্ছে প্যাকেটের ভেতর। আর এসব খাবার খেয়ে বꦛাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বাড়ছꦯে নানা ধরনের রোগব্যাধি।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের গবেষকদের গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের প্যাকেটে থাকা ১৪ হাজার পরিচিত🌜 রাসায়নিকের মধ্যে ৩ হাজার ৬০১টি রাসায়নিক পাওয়া গেছে মানবশরীরে।
গবেষকেরা বলছেন, তারা মাꦺনুষের শরীরের রক্ত, চুল ও বুকের দুধের নমুনা পরীক্ষা দেখেছেন, খাবারের প্যাকেটে থাকা রাসায়নিকের ২৫ শতাংশের উপস্থিতি পাওয়া গেছে মানবশরীরে।
রাস𒊎ায়নিকগুলোর মধ্যে রয়েছে ধাতু, উদ্বায়ী জৈব যৌগ, পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল পদার্থসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক। এসব রাসায়নিক থেকে ক্যানসারস♚হ বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা।
গবেষকদের এই গবেষণা সম্প্রতি এক্সপোজার সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল এপিডেমিওলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, তাদের এই ফলাফল ভবিষ♏্যতের গব❀েষকদের সাহায্য করবে।
খাদ্য প্যাকেজিং ফোরামের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক জেন মুনকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, “খাবারের প্যাকেটে এমন সব বিপজ্জনক রাসায়নিক রয়েছে, যেগুলো স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির জন্য পরিচিত। খাবার প্যাকেটজাত করার ফলে রাসায়নিকগুলো খাবারের ভেতর প্রবেশ করে।”
বহু বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন, খাবারের প্যাকেট থেকে রাসায়নিকগুলো খাবারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু এতেও প্যাকেটজাত খাবারের পরিমাণ কমেনি, বরং বেড়েছে।
গবেষকেরা তাদের গবেষণা পরিচালনার জন্য প্যাকেটজাত খাবারে তালিকা করেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানবদেহের টিস্যু ডাটাবেস সংগ্রহ করেন।
আমহার্স্টের ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটর জীববিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক আর. টমাস জোয়েলার বলেন, ‘প্যাকেটের রাসায়নিক কীভাবে খাবারের মধ্যে প্রবেশ করে, তা নিয়ে আমরা বেশির ভাগ সময়ই ভাবি না। এটি নিয়ে এখনই সচেতন হওয়া উচিত।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, খাবারের প্যাকেটে সাধারণত কাগজ, কার্ডবোর্💛ড, প্লাস্টিক, নন ফুড গ্রেড কালি ইত্যাদি থাকে। এসব রাসায়নিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।