পাকিস্তানের পেশোয়ার প্রদেশে একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত চলাকালে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা দাঁড়ালেও দাঁড়াননি দুই আফগান কূটনীতিক। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলা✱মাবাদ।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন জ🎶ানায়, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পেশোয়ারে রাহমাতুল-লিল-আলামিন নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাকিস্তান সরকার। সেই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত চলাকালে অন্য কূটনীতিকরা দাঁড়ালেও বসেছিলেন ইসলামাবাদে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল মুহিবুল্লাহ শাকির এবং তার সহযোগী।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বেলুচ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আয়োজক দেশের জাতীয় সংগীতের প্রতি অসম্মান কূটনৈতিক নিয়মের পরিপꦜন্থী।’
পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র আরও বলেন, “আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেন𝔍ারেলের এই কাজটি নিন্দনীয়। আমরা ইসলামাবাদ এবং কাবুল উভয়ের আ🅷ফগান কর্তৃপক্ষের কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে কারণ ব্যাখ্যা করে আফগান কনস্যুলেট পেশোয়ারের মুখপাত্র শহীদ উল্লাহ বলেন, “কনসাল জেনারেলের পদক্ষেপগুলো পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতকে অসম্মান করার উদ্দেশে নয়। বর🍒ং সংগীতে বাদ্যযন্ত্র থাকায় কনসাল জেনারেল দাঁড়াননি। আমরা একই কারণে আমাদের নিজস্ব জাত💝ীয় সংগীতেও বাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধ করেছি।”
আফগান কনস্যুলেটের মুখপাত্র আরও বলেন, “যদি সংগীতের সাথে বাদ্যযন্ত্র বাজানো না𝐆 হতো, তাহলে কূটনীౠতিক অবশ্যই দাঁড়িয়ে থাকতেন।”
তবে আফগান কনস্যুলেটের এই ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসꦜলামাবাদ।