লিটন কুমার দাস। উইকেটকিপার কাম ব্যাটার। অসাধারণ দক্ষ ব্যাটার এই লিটন। কিন্তু ক্রিকেট ক্যারি🌸য়ারে সবারই কোন না কোন সময় আসে কষ্টের। ক্র෴িকেট যেহেতু মনস্তাত্ত্বিক খেলা। তাই সময়ের সঙ্গে ওই মনস্বাত্ত্বিক বিষয়টার অমিল হলেই ধারাবহিকতা নষ্ট হয়ে যায়। লিটনেরও একটা সময় এসেছিল তেমনই। ব্যাট হাতে রানই পাচ্ছিলেন না। তারপরও নির্বাচকরা তাকে দলে রেখেছেন একটা আশায় যে, একটা সময় লিটনের ব্যাট ক্লিক করবে। হয়তো সেই সময়টা এসেছে এখন।
যেখানে পাকিস্তানেরܫ মাটিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৬টি উইকেটের পতন ঘটে মাত্র ২৬ রানের ভেতরে, সেখানে প্রচন্ড এক চাপের মধ্যে ছিলেন লিটন। কারণ, তিনি চোখের সামনে দেখেছেন ওপেনিং জুটির পতন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হক, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং দীর্ঘ সময়ের পার্টনার মেহেদি হাসান মিরাজের আউট। এই অবস্থায় সেঞ্চুরি করা যে কতট꧙া কঠিন তা ভাবাই যায় না। সেই অবস্থায় লিটন সেঞ্চুরি করেছেন বীরদর্পে।
ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থেকে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে যাচ্ছেন ডানহ💦াতি এই ব্যাটার। আবরার আহমেদকে চার মেরে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। ১৭১ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি।
২৬ রানে ৬ উইকেট পতনে ভেঙে পড়াটাই ছিল অ♍নেকটা অনুমিত দৃশ্য। কিন্তু সেটি বদলে দেওয়ার কাজটি করেন লিটন দাস ও মিরাজ। লাঞ্চের পর এসে দুজন হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন। খুররাম শেহজাদের কিছুটা লাফিয়ে উঠা বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ১২৪ বলে ৭৮ রান করে আউট হন মিরাজ। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাসকিনও। এরপর লিটন দাস হাসান মুহমুদকে সঙ্গী করে এগিয়ে যেতে থাকেন। চমৎকার সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ। তার ফলেই লিটনের সেঞ্চুরি করা সহজ হয়।
২৯ বছর বয়সী ಞলিটন ৪২ টেস্টে এই সেঞ্চুরিসহ এ পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি রান করেছেন।