প্রতিদিনের জীবনযাত্রার উপর মানুষের সুস্থতা নির্ভর করে। যে মানুষ যত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করবে, তার স্বাস্থ্য ততটাই সুরক্ষিত থাকবে। যে ব্যক্তি নিয়মিত খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবে সে ততই সুস্থ থাকবে। যদিও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিনের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসের জন্য এসব চিকিত্সরাও রোগমুক্তি দিতে পার🥂ে না। বরং মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থক কমিয়ে দিতে পারে। যেমন_
· খেতে বসে টিভি বা ফোনে সিরিজ দেখার অভ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। কারণ খাবারের সময় অন্যমনস্ক থাকলে তা শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থঅকেꦏ। ঠিকমতো চিবিয়ে খাবার না খেলেও বদহজম হয়। যা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হয়। আর শরীর দুর্বল হয়ে পড়🌞ে।
· অনেকেরই মাংস খাওয়ার পর দাঁতের গোড়ায় আটকে যায়। আর সঙ্গে সঙ্গে টুথপিক ব্যবহার করেন। এই অভ্যাসও 💎ভালো নয়। এটি মাড়ির ক্ষতি করে। সেক্ষেত্রে ব্রা♛শ কিংবা ফ্লস ব্যবহার করা ভালো হবে।
· অনেকেই শুয়ে বই পড়েন। এই অভ্যাস আজই বদলে নিন।ౠ এটি মেরুদণ্ডের জন্য মোটেও ভালো হয় না। আগামীতে নানা সমস্যা হতে পারে। বালিশ বা দেওয়ালে হেলান দিয়ে কিংবা চেয়ারে বসে বই পড়ুন।
· &𝄹nbsp;&⭕nbsp; গোসলের সময় অনেকে গরম পানি ব্যবহার করেন। ওই সময় মাথায়ও গরম পানি ঢালেন। এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। কারণ গরম পানি ব্যবহারে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আবার এটি ত্বকের জন্যও ভালো নয়। ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা বেড়ে গিয়ে চর্মরোগ হতে পারে।
· 🙈 বাথরুমে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। কমোডে বসে ফোন ঘাঁটাঘাঁটির অভ্যাস ভালো নয়। এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ায়। এমনকি রক্তবাহিকাতেও চাপ সৃষ্টি করে।
· আপনি হেডফোন বা এয়ারপড ব্যবহার করলে তা ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে শ্রবণশক্তির ক্ষতি করতে পারে। জোরে জোরে গান শুনলে কিংবা উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে শ্রবণের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এটি শ্রবণশক্তিকে একবারে নষ্টও করে দিতে পারে। মার্কিন গ♛বেষকদের মতে, শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে তাদের আলঝেইমার্স হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। হেডফোন ব্যবহারের আগে সতর্ক হোন। যদি শুনতেই হয় ভলিউম ৬০ শতাংশের চেয়ে বাড়াবেন না। হেডফোন টানা ব্যবহার না করে, এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ব্যবহার করুন। আবার গান শুনে জোরে জোরে মাথা ঝাঁকালে মস্তিষ্কের কোষ মারা গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হয় বলেও জানায় ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল।