• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২২, ১০:০৮ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে ২০ বছর পর সেঞ্চুরিয়নে ৩৮ রানে প্রথম জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এই মাঠেই তিন ম্যা♍চের ওয়ানডে সিরিজের অলিখꦡিত ফাইনাল ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নিল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন টিম বাংলাদেশ। ৯ উইকেটের দাপুটে এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে মাত্র ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚতামিম ও লিটনের উদ্বোধনী জুটির ১২৭ রানে জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়। এরপর সাকিবকে নিয়ে তামিম দেশকে অসাধারণ এক জয় উপহার দেন। 

দিনের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুটা টি-টোয়েন্টির বেগে করেছিলেন দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক। দ্রুত তাদের দলের সংগ্রহ পঞ্চাশের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সেখানেই মিরাজের ম্যাজিকে প্রথম উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। তার স্পিন ঘূর্ণির বল তুলে মারতে গিয়ে ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি ডি কক।  লং-অফে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৬ রানে ডি কক নিজে ১২ রানে বিদায় নিলে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
 
এরপর বাংলাদেশি বোলাররা ঘুরে দাঁড়ান। নিজের টানা দুই ওভারে তাসকিন তুলে নেন জোড়া উইকেট। তাদের উইকেট-উৎসবে পরে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান আর শরিফুল ইসলাম। এদিন বাংলাদেশি বোলাররা সেঞ্চুরিয়নের মাঠকে মিরপুরের উইকেট বানিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটারদের দিশেহারা করে দেন। প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে গিয়ে ৩৭ ওভারে মাত্র ১৫৪ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস।  
 
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার জানেমান মালান। এছাড়া লোয়ার অর꧟্ডার ব্যাটার কেশব মহারাজ করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান। বোলিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ৫ উইকেটের দেখা পান। সাকিব তুলে নিয়েছেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এছাড়া শরিফুল ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।

জবাবে জয়ের জন্য ১৫৫ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদ ঘটিয়ে বসেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দ🎶াস। রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই কাগিসো রাবাদার বলে থার্ড স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। কিন্তু সেখানে প্রোট🐈িয়া ফিল্ডার কেশভ মাহারাজ বলটি তালুবন্দী করতে পারেননি। এরপর লুঙ্গি এনগিদির একটি বল ঠিকমত খেলতে পারেননি তামিম। ব্যাটে লেগে বলটা পিচ করে স্ট্যাম্পের কান ঘেঁষে বুলেট যাওয়ার মতো অবস্থা। সমূহ বিপদ থেকে বেঁচে যান তামিম। বেঁচে যায় বাংলাদেশও।

এরপর বাংলাদেশের ব্যাটাররা তেমন বিপদে পড়েনি। বরং অল্প রানের লক্ষ্যে নেমেও প্রোটিয়া বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন। মাত্ꦬর ১৮ ওভারেই দলীয় শতক পূর্ণ করেন এই দুই ব্যাটার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দ💜্বিতীয় শতকের জুটি। 

তামিম তার ক্যারিয়ারের ৫২তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে আরও চড়াও হন আফ্রিকার ওপর। অন্▨যদিকে লিটনও হাত খুলে ব্যাটিং করতে থাকেন। কিন্তু নিজের ফিফটি তুলে নেওয়ার আগেই ব্যক্তিগত ৪৮ রানে লিটন আউট হয়ে যান৷ ফলে তামিমের সঙ্গে তার ১২৭ রানের জুটি ভাঙে। এরপর বাকি কাজটুকু সাকিবকে নিয়ে সহজেই উতরে যান টাইগার অধিনায়ক। ফলে মাত্র ২৬ ওভার ৩ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

তামিম ৮২ বলে ১৪ চারের মারে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। সঙ্গে সাকিব অপরাজিত থাকেন ১৮ র𒈔ানে। 

ম্যাচ ও সিরিজ সেরারಞ মুকুট ওঠে ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের হাতে।

Link copied!