সারা দেশে গড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আꦯবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলছে, এমন গরম শনিবারও থাকবে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে গরমের তীব্রতা কমবে, হতে পার🔯ে বৃষ্টিও।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নেত্রকোনা ও আশুগঞ্জে, ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মাঝারি তাপপ্রবাহ হয়েছে বলে বিবেচিত। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশ﷽মিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। শুধু বৃষ্টি হয়েছে রাঙামাটিতে, ৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন তাপমাত্রা যেমন আছে, 🅷এটা অ্যালার্মিং। কক্সবাজার আর রাঙামাটি ছাড়া দেশের সব জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। এই সময়ে তাপমাত্রা বাড়ে। যদিও ভাদ্র মাস চলে গেছে।
গরম কেন, এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এই সময়ে বৃষ্টি না হলে তাপম🌺াত্রা বাড়ে। কিছুদিন আগেই একটা নিম্নচাপ ছিল। এটা চলে যাওয়ায় আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। এতে করে তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। বাতাসে পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প আছে। আকাশ মেঘমুক্ত হওয়ার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে।
বজলুর রশীদ বলেন, এখন তাপপ্রবাহের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আগে এমন হতো, তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটা বর্ষাকালেও দেখা যাচ্ছে। এমন তাপমাত্রা আরও দুই দিন থাকবে। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর একটা লঘুচাপ ꦇহতে পারে। তখন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি কমবেশি থাকবে। এরপর মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ুবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (ꦇথ্রিসিএস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস ছিল বিশ্বের ꧂ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ সেপ্টেম্বর। তবে চলতি বছরের শুরুতে নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, জলবায়ুর প্যাটার্ন এল নিনো আবারও ফিরে আসায় ২০২৪ সাল বিগত বছরের চেয়ে আরও বেশি গরম হতে যাচ্ছে।