ডেঙ্গু আতঙ্ক শেষ হতে এখনো অনেক দেরী। প্রতিদিনই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে আবার স্প্রে, কয়েলের মতো বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারে মশার আক্রমণ কমে গেলেও তাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে অনেক বেশি। তাই শারীরিক ক্ষতি হয় না, এমন উপাদান ব্যবহার করাই ভালো। মশা, মাছি তাড়ানোর প্রাচীন একটি পদ্ধতি হলো ধূপ। এটি 🍃সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়ায় শরীরের ক্ষতি করে না। কারণ গাছের কাণ্ড থেকে যে আঠা বের হয় তা দিয়েই তৈরি করা হয় ধূপ। ঘরে প্রতিদিন দুই বা তিনবেলা ধূপ দিলে মশার উপদ্রব কমে যায়। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয় বলে ধূপের ধোঁয়া শরীরের কোনো ক্ষতি করে না।
যেভাবে ধূপ ব্যবহার করবেন
নারকেলের শুকনা আঁশ ধূপদানিতে দিয়ে তাতে ধূপের গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। নারকেলের শুকনা আঁশের বদলে কাঠের গুঁড়াও ব্যবহার করতে পারেন। এসব পণ্যের দাম বেশি না। ফলে সাধ্যের মধ্যেই কেনা সম্ভব। ধূপদানিতে তিন বা চার টুকরো নারকেলের আঁশ দিতে হবে। এরপর নারকেলের আঁশে আগুন ধরিয়ে তাতে ১ চা চামচ পরিমাণ ধূপের গুঁড়া দিতে হবে। প্রচুর ধোঁয়া হবে ও সুন্দর গন্ধ পাওয়া যাবে। ধূপ জ্বালানোর পর প্রথম ৫ মিনিট ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে। এরপর জানালা খুলে দিন। এতে ঘরের মশা চলে যাবে। ১০ মিন🙈িট জানালা খোলা রাখার পর আবার বন্ধ করে দিন। ধূপ দেওয়ার পর জানালা বন্ধ ♌রাখাই ভালো। এতে বাইরের মশা ঘরে ঢুকবে না।
কিছু বিষয়ে সতর্কতা
- ধূপের আগুন থেকে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই এই ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। ধূপ জ্বালানোর পর ধূপদানি কাপড় কিংবা তুলাজাতীয় জিনিস থেকে অনেক দূরে রাখতে হবে। ধূপদানির জন্য ফাঁকা জায়গা নির্বাচন করা ভালো।
- ধূপ জ্বালানোর আগে ঘরের ফ্যান বন্ধ করতে হবে। ফ্যানের বাতাসে ধূপের আগুন ঘরের চারপাশে উড়ে গেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ধূপের আগুন ভালোভাবে নিভে গেলে ফ্যান ছাড়তে হবে।
- ধূপের ধোঁয়ায় অনেকসময় শিশুদের চোখ জ্বালা করতে পারে। তাই ধোঁয়া থেকে শিশুদের দূরে রাখুন।
- ২০-২৫ মিনিটের বেশি ধূপ জ্বালিয়ে না রাখাই ভালো। এতে ঘরে ধোঁয়াটে ভাব চলে আসে।
- ধূপদানি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
- শুধু মশা মাছি তাড়াতেই নয়, ধূপ প্রাকৃতিক এয়ারফ্রেশনার হিসেবেও ভালো কাজ করে। নিয়মিত ধূপ দিলে ঘরের ভ্যাপসা ভাব দূর হয়।