শীতে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়। তার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। শুষ্ক আবহাওয়া শরীর থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নিচ্ছে। ফলে ঠোঁট আদ্রতা হারায়। আবার শীতে তৃষ্ণার অনুভূতি কম হয় বলে পানি কম খাওয়া হয় কিন্তু শরীরে পানির চাহিদা তো ঠিকই থাকে। এর ফলেও ঠোঁট ফাটে। এছাড়া আমাদের নানান বদঅভ্যাস তো আছেই। কিন্তু ঠোঁট ফাটা যেমন অস্বস্থিকর তেমনি দেখতেও খারাপ লাগে। তাই শীতে ঠোঁটের যত্ন ভালোভাবে নিতে হবে। এ ক্ষেত🅺্রে করণীয় কী জেনে নিন-
- অন্যান্য সময়ের মতো শীতেও পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। পানির অভাবে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে করে ঠোঁটের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
- অনেকেই আছে ঠোঁট শুকনো মনে হলে জিহ্বা দিয়ে চেটে দেন। এটা করা যাবে না। কারণ জিহ্বার লালা দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং আরও বেশি শুষ্কভাব আনে। এ ছাড়া লালাতে থাকা এঞ্জাইম ঠোঁটের ত্বক ভেঙে দেয়। ফলে আরও বেশি অস্বস্তি তৈরি হয়।
- শীতে সুস্থ থাকতে বিশেষ করে ঠোঁট ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল ও সবজি খেতে হবে। এগুলো ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন `সি `যুক্ত খাবার বিশেষ করে ফল যেমন- লেবু, জাম্বুরা, কমলা বেশি করে খাওয়া উচিত।
- ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে প্রতিদিন নারিকেল তেল লাগান। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
- ফ্যাটি অ্যাসিড ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে, তাই ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এমন ধরনের আর লিপবাম ব্যবহার করতে হবে।
- শীতেও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ঠোঁটের ক্ষতি করতে পারে। সানস্ক্রিনযুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন।
- এসময় ঠোঁটে কাঠবাদামের তেল ও লেবুর মিশ্রণ লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়।
- তবে কখনওই ঠোঁটের মৃত কোষ টেনে তুলবেন না। এতে ক্ষতি হয় বেশি। প্রয়োজনে স্ক্রাব করুন।