রান্নায় পুদিনা পাতার কদর তো আছেই, কিন্তু ঔষধি হিসেবে এই পাতার বহুল ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা হয় পুদিনা পাতা। গরমে ব্রণের সমস্যা অনেকেরই হয়ꦯ। এই ব্রণ দূর করতে অনেকেই ব্যবহার করে বাজারে প্রসাদনী। কিন্তু এই ব্রণের ওষুধ পুদিনা। কীভাবে তা জানতে চান? চলুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে পুদিনার ব্যবহার-
ব্রণ দূর করবে পুদিনা
পুদিনা ও লেবুর রস
১০টি পুদিনাপাতা ভালোভাবে ধুয়ে একটি বাটিতে নিয়ে ছেঁচে এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটি ব্রণ, ব্রণ আক্রান্ত স্থান বা ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে ১৫-২🐟০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে তা ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হবে। পুদিনার স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমাতে🐻 উপকারী। এটা প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে লোমকূপ উন্মুক্ত করে এবং ব্রণের দাগ কমায়। অন্যদিকে লেবুর রসের ব্লিচিং উপাদান ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল করে।
পুদিনা এবং গোলাপজল
কয়েকটি পুদিনা পাতা বেটে একটি থকথকে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটির মধ্যে পরিমাণ মতো গোলাপজল এবং ক🔯িছুটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিয়ে ত্ব⛄কে লাগান। ত্বকের অনেক সমস্যা দূর হবে এতে।
পুদিনা ও শসার প্যাক
১০-১৫টি পুদিনা পাতা ও শসার টুকরা ব্লেন্ডা📖রের সাহায্যে মিহি পেস্ট করে নিতে হবে।🥂 প্যাকটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
পুদিনা পাতা এবং কলা
৪-৫টি পুদিনা পাতা এবং একটি পাকা কলা একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে মিশ্র🐲ণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি গোসলের আগে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে মসৃণ ও ব্রণমুক্ত। কলায় ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই থাকে প্রচুর পরিমাণে। এ ছাড়া রয়েছে পটাশিয়াম, ল্যাকটিক, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও জিংক। এই তিনটি উপাদানে ত্বক হয় আর্দ্র ও মসৃণ। ত্বকের ক্ষয়, ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে এই প্যাক বেশ উপকারী।