ঠান্ডা-কাশি দূরে রাখে গোল মরিচ

বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত মসলাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কালো গোলমরিচ। এর ঝাঁঝালো মসলাদার ফ্লেভার খাবারে যোগ করে বাড়তি স্বাদ। তবে শুধু ঝাঁঝালো ফ্লেভারের জন্য না, গোলমরিচ এসময় খেতে পারেন তার স্ব♛াস্থ্যগুণের জন্য। এই মসলা আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাংগানিজ, জিংক, ক্রোমিয়াম, ভিটামিন এ ও সি এবং অন্যান্য উপাদানে ভরপুর। এসময় আর্দ্র আবহাওয়া ব্যাকটেরিয়া এবং রোগজীবাণুর সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে, যার ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। আর এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে গোলমরিচ। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় গোলমরিচ। জেনে নিন এই সময়ে গোল মরিচ কেন খাবেন-

• বর্ষাকালে আর্দ্র আবহাওয়ায় সর্দি বা কাশি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে এই অসুস্থতা কমিয়ে আনতে পারে গোলমরিচ। এই মসলায় উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
• গোলমরিচকে দারুণ প্রদাহনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
• গোলমরিচে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এ মসলা।
• এসময়ের বৈরি আবহাওয়া আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এই কারণেই এটি শক্তিশালী করার জন্য খাদ্যতালিকায় গোল মরিচ যোগ করতে পারেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) অনুসারে, গোল মরিচ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে।
• বন্যায় পানিবাহিত রোগ বেড়ে যায়। তাই গোলমরিচ খেতে পারেন। কারণ গোলমরিচে রয়েছে ডায়রিয়া, কলেরা ও আরথ্রাইটিস প্রতিরোধের ক্ষমতা। এটি রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে পারে।
• গোলমরিচে থাকা পাইপেরিন আমাদের হজমকে সহজ করে তোলে। পেট খারাপের অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূরে রাখতে কাজ করে এই মসলা। গোল মরিচ হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের নিঃসরণ বাড়ায়, যা পাচনতন্ত্রের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য অপরিহার্য।