• ঢাকা
  • সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

শেখ হাসিনার ঘুষ নেওয়া নিয়ে যা বললেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৯:৪৫ এএম
শেখ হাসিনার ঘুষ নেওয়া নিয়ে যা বললেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন‍্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছে বলে যে তথ‍্য ছড়িয়েছে, সেটিকে গুজব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক🎃্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্🎃ডার মান্টিটস্কি। 

তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক ব🅺িদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মি💝থ্যা ও গুজব।

রোববার (২৫ আ♒গস্ট) নগরীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ব🐬ৈঠকের আগে এক প্রশ্নের জবাবে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ৫ বিলিয়ন ডলার একট𝕴ি বড় অঙ্কের অর্থ, যেখানে প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান সেখান থেকে এত বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ পাগল নয়, এতগুলো অর্থ দিয়ে দ🌌েবে। ইটস রিউমারস অ্যান্ড কমপ্লিটলি ফলস রিউমারস।

তিনি দাবি করেন, গত জানুয়া𝓰রিতে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগেই এই গুজবের প্লট তৈরি করা হয়েছিল।

রাশি꧃য়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা কি এতই ক্রেজি হয়ে গেছি একজনকে ৫০০ কোটি ডলার দেব। এܫকটা প্রকল্প শুরু হলো আর ৫০০ কোটি ডলার দিয়ে দিলাম, এটা রিউমার ও মিথ্যা।

রাষ্ট্রদূত আরও জানান, নতুন 🌌অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীতে সব ধরনের আর্থিক♛ এবং উন্নয়ন বাংলাদেশের পাশে থাকবে রাশিয়া।

এর আগে, ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তব﷽ায়নকারী সংস্থা রোসাটম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। যাতে মধ্যস্থতা করেন ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটিওর নির্মাণে খরচ ধরা হয় এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম। নিজের ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক♚, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সম🌠য় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সেসময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন 🅷ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।

২০০৯ সালে ‘প্🤪রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চা🥀লু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাদের।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পে🐲র অভিযোগ, এ কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন শেখ হাসিনা। তাদের এ কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

উল্লেখ্য, গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি ২০১৮ সালে চালু হয়। বিভিন্ন দেশেরꦗ সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুস꧋ন্ধান করে থাকে তারা।

Link copied!