শীতে কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। চিলমারী উপজেলার ওপর দౠিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত ﷽হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে গোটা উপজেলার জনপদ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না কেউ।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলা🍌র সর্বন🌌িম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীত কষ্টে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী চরাঞ্চলের ম🃏ানুষজন।
ঘন-কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটဣো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলস☂িয়াসের নিচে থাকায় উপজেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কোদাল ধোয়ার পাড় এলাকার রিকশাচালক আব𒅌্দুল রহিম বলেন, “২০ দিন থাকি ঠান্ডা, কাজ কামাই করতে পারোছি না। 🎃আমরা যারা দিন কামাই করি দিনে খাই, হামারগুলার সমস্যা হইছে।”
একই এলাকার গওছল হ💃ক নামের এক কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “সকালে যখন বোরো ধানের বীজতলায় কাজ করি, তখন হাত পা বরফ হয়া যায়।෴ অনেক দিন থাকি ঠান্ডায় অবস্থা খুবই খারাপ।”
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এ রকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৮ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।