• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২৪ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


৯ বছরে পাল্টে গেল বঞ্চনার জীবন, কেমন আছেন ছিটমহলবাসী?


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
৯ বছরে পাল্টে গেল বঞ্চনার জীবন, কেমন আছেন ছিটমহলবাসী?

নয় বছর পূর্ণ হলো ছিটমহল বিন𓃲িময়ের। ২০১৫ সালের ১ আগস্ট ৬৮ বছরের বন্দীদশা থে๊কে মুক্তিপান দেশের ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা। এরপর সরকারের নানামুখী উদ্যোগে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে হয়েছে উন্নয়ন। তো এখন কেমন আছেন ছিটমহলবাসী?

বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা এসব এলাকাকে এগিয়ে নিতℱে বিশেষ 🐽বরাদ্দের প্রত্যাশা করছেন স্থানীয়রা।

ছিটমহল বিনিময়ের নবম বর্ষপূর্তি আজ। দীর্ঘ ৬৮ বছর বন্দিজীবন কাটিয়ে ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট মধ্য রাতে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশের বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলের ৪১ হাজার নাগরিক। দীর্ঘদিন থেকে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত ছিল তারা✱।

জানা যায়, ১৭ হাজার ১৫৮ একর আয়তনের এসব ছিটম❀হলের অধিবাসীদর জন্য ছিল না কোনো নির্দিষ্ট দেশ ও পরিচয়। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছিল। রাষ্ট্রীয় কোনো সুযোগ সুবিধা তো দূরের কথা নুন্যতম পরিচয়ও চলতে পারতেন না তারা। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় অবশেষে গত ২০১৫ সালর ৩১ জুলাই স্বাধীনতার স্বাদ পায় ছিটমহলবাসী। ওইদিন মধ্যরাতে মোমবাতি প্রজ্জলন এবং পরদিন (১আগস্ট) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তালনের মধ্য দিয়ে বিলুপ্ত হয় অভিশপ্ত ছিটমহলবাসীর বন্দি জীবন। স্বাধীন বাংলা🍌দেশের দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পায় লালমনিরহাটের ৫৯টি, কুড়িগ্রামের ১২টি, নীলফামারীর ৪টি ও পঞ্চগড়ের ৩৬টি ছিটমহলের বাসিন্দা।

দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দী দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দেশের অন্যান্য অধিবাসীদের ন্যায় পেতে শুরু করে সুবিধা। গত ৯ বছরে বিলুপ্𒀰ত ছিটমহলকে এগিয়ে নিতে সরকারের ཧপক্ষ থেকে নেওয়া হয় নানা পদক্ষেপ। 

বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর উন্নয়নে ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। নির্মাণ করা হয় রাস্তাঘাট, গড়ে তোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মী🔜য় প্রতিষ্ঠান। ঘরে ঘরে দেওয়া হয় বিদুৎ সুবিধা। কৃষি উন্নয়নেও পদক্ষেপের কমতি নেই এসব বিলুপ্ত ছিটমহলে। এতে বদলাতে থাকে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর জীবনমান।

ছিটমহলবাসীরা বলেন, “৬৮ বছর আমাদের কোনো পরিচয় ছিল না। এখন আমরা বাংলাদেশের নাগরিꦗক। আগে কুপি জ্বালিয়ে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতো। 🙈এখন বিদ্যুৎ এসেছে। শিশুরা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। ঢাকায় গিয়ে অনেকে চাকরিও করতে পারছেন।”

তারা বলেন,🌳 “আমরা এখানে সব সুবিধা পাচ্ছি। ছিটমহলের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। এখানকার নাগরিক হওয়ায় রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, স্কুল-কলেজ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছি। তবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠায় বিশেষ বরাদ্দ দরকার।”

বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী ষাটোর্ধ আব𓂃্দুল হামিদ বলেন, “জেলহাজতের চেয়েও খারাপ অবস্থায় ছিলাম আমরা। আমাদের কোনো পরিচয় ছিল না। দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আত্মীয় করতে চাইত না। নিজের সন্তানদের অন্য পরিচয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে হত। নানা প্রতিবন্ধকতায় সন্তানদের উচ্চশিক্ষা অর্জন করাতে পারিনি।”

জেলা প্রশাসকꦕ মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে মোমবাতি প্রজ্জলন এবং ১আগস্ট সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে মুছে যায় ছিটমহল নাম। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পায় এখানকার বাসিন্দারা। স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত  বিলুপ্ত  এসব ছিটমহলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সবধরনের উন্নয়ন করেছেন সরকার।

১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে বাংলাদেশ ও ভারত ছিটমহল বিনিময় কর꧒ে। দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন বাসিন্দারা।

বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে পঞ্চগড়ে রয়েছে ৩৬টᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚꦚি, লালমনিরহাট ৫৯টি, কুড়িগ্রামে ১২টি ও নীলফামারীতে ৪টি।

Link copied!