দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্ট জর্জ পার্ক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিকরা ১০৯ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। সেইসঙ্গে কপাল পুড়েছে ভারতীয় দলের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইন๊ালের দৌড়ে তারা এখন অনেকটাই ব্যাকফুটে। হয়তো খুব শিগগিরই লড়াই থেকে বিদায় নিবে দুই বারের 🌠ফাইনালিস্ট ভারত।
দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের পর নাটকীয়ভাবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে উঠে গেছে টেম্বা বাভুমার দল। ১০ টেস্টে প্রোটিয়ারা জ🅺য় পেয়েছে ৬টিতে। আর ১ ম্যাচ হয়েছে ড্র। তাদের পয়েন্ট শতাংশ এই মুহূর্তে ৬৩.৩৩।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের রাস্তাটা এখন এ🃏কেবারেই সহজ। জিততে হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের একটি টেস্ট ম্যাচ। আবার দক্ষিণ আফ্রিকা সেই দুই ম্যাচের সিরিজ খেলবে নিজেদেরই ঘরের মাঠে। তাই প্রোটিয়ারা লর্ডসের ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে- এমন মন্তব্য করলে খুব একটা বেশি বলা হবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে অস্ট্রেলিয়া নেমে গিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে। তবে ফাইনাল খেলার স্বপ্নটা ভালভাবেই টিকে আছে 💎তাদের। অন্য যেকারো চেয়ে তাদের হাতে টেস্ট সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজে ৩ টেস্ট ছাড়াও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের একটি অ্যাওয়ে সিরিজ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। বলা চলে, ফাইনালের পথে অস্ট্রেলিয়া বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে।
অস্ট্রেলিয়া যদি এই সিরিজ জিতে যায়, তবে তাদের ফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। ৩-২ কিংবা ৪-১ ♒ব্যবধানে জিতলেই ত𓆉াদের জন্য সমীকরণের জটিলতা শেষ। তবে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ জয় দরকার হবে তাদের। আর ৩-২ ব্যবধানে হেরে গেলে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে দুই ম্যাচেই জয় দরকার হবে।
বিপাকে পড়েছে ভারত। তাদেরকে নিজেদের পরের তিন ম্যাচে জয় পেতেই হবে। অন্যথায় টেস্ট চ🍷্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য তাদেরকে পড়তে হবে গাণিতিক সমীকরণের সামনে। যেটা প্রায় অসম্ভবেরই কাছাকাছি। ভারত যদি বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের পরের তিন ম্যাচেই জয় পায় তবে তাদের পয়েন্ট শতাংশ হবে ৬৩ দশমিক ১৫। যা ফাইনা🌃লে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
তবে ভারত যদি অন্তত ১ ম্যাচেও হেরে য𓆉ায় তবে তাদের শতাংশ নেমে যাবে ৫৭ দশমিক ৮৯-এ। যেখান থেকে ফাইনালে যেতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাকিস্তান সিরিজের দুই ম্যাচেই হারতে হবে। সেইসঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই জয় পেতে হবে।