বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ইতিবাচক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক চায় বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেছেন, “ভারত চায় দুই দেশের ইতিবাচক স্বার্থ সংশ্ল♛িষ্ট সম্পর্ক। অতীতেও আমাদের সেই সম্পর্ক ছিল, সেটি ভবিষ্যতেও আমরা অব্যাহত রাখতে চাই। এই সম্পর্ক জনগণকেন্দ্রিক।”
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্🌞রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন এবং পররাষ্ট্র উপদেষ꧟্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার সফরের বিষয় তুলে ধরে বিক্রম মিশ্রি বলেন, “পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের আমন্ত্রণে আমি ঢাকায় এসেছি। অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক স♛ম্পর্কের মুহূর্তে আমি ঢাকায় এসেছি, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য। এ বছর আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে আমাদের উভয় দেশের নেতাদের মধ্যে প্রথম কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে টেলিফোন আলাপ হয়েছে। নিউইয়র্কে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “নতুন সরকারের সঙ্গে এটা প্রথম ফরেন সচিব মিটিং। আজকের এই আলোচনা আমাদের উভয়পক্ষকে🌱 এই সুযোগটা করে দিয়েছে। আমাদের মধ্যে খোলামেলা এবং গঠনমূলক মতবিনিময় হয়েছে। আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো-ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক ও লাভজনক সম্পর্ক, যেটা বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আমরা অতীতে দেখেছি ও আমরা ভবিষ্যতেও এটা দেখতে চাই।”
বিক্রম মিশ্রি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরক🥃ারের সঙ্গে গভীরভাবে কাজ করতে আগ্ꦡরহী ভারত। দিল্লি আশা করছে, দুই নিকট প্রতিবেশীর সম্পর্ক একটা ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাবে।”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উভয় দেশের মানুষ কেন্দ্রিক হবে। এটা উভয় দেশের জনগণের উপকারে আসবে এবং এর প্রতিফলন আমা🃏দের প্রাত্যহিক ঘটনার মধ্যে পাচ্ছি। যার মধ্যে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, পানি, এনার্জি, উন্নয়ন সহযোগিতা, কনস্যুলার সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ রয়েছে।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, “আমরা সাম্প্রতিক ঘটে যাജওয়া ঘটনাবলি আলোচনা করেছি। সংখ্যালঘু ইস্যুতে আমি আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। সংখ্যালঘুর বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিষয়টি দেখবে।”
বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দুই দেশের মধ্যে কিছু দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো নিয়েও♍ আমরা আলোচনা করেছি। ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক বিষয়ে আক্রমণের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা সার্বিকভাবে উভয়পক্ষের মধ্যে গঠনমূলཧক মনোভাব চাই।”