যে জাতি মায়ের ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে, যে জাতি পাকিস্তানি সৈন্যদের হায়নার মতো আক্রমণকে দেশপ্রেম দিয়ে মোকাবেলা করে ও বুকের তাজা রক্ত ঢেলে স্বাধীনতা এনেছে, যে জাতি বার বার প্রচন্ড সাহস দেখিয়ে শক্তিশালী স্বৈরাচার রুখে দিয়েছে, সে জাতি ♌ক্রিকেট মা𓆏ঠেও বীরত্ব দেখাবে- এটাই স্বাভাবিক।
২০০৩ সালে বাংলাদেশকে মুলতান টেস্টে নিশ্চিত জয়বঞ্চিত করেন পাকিস্তানের ‘ক্যাচজোচ্চর’ রশিদ লতিফ ও লঙ্কান ‘বর্ণবাদী আম্পায়ার’ অশোকা ডি সিলভা। এꦜই ইতিহাসটা হয়তো জানেন না কিংবা জানার যোগ্যতা নেই জনৈক পাকিস্তানি সাংব🎀াদিকের। ফলে তিনি বাংলাদেশকে হেয় করে প্রশ্ন করে বসেন পাকিস্তানি অধিনায়ক শান মাসুদকে। অবশ্য শান মাসুদ কড়া জবাব দিয়েছেন তাকে।
সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজের পর মুদ্রার দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। টাইগার♌ ক্রিকেট যেমন জয়ের আনন্দে ভাসছে, তেমনি সমালোচনায় তুলোধ💃ুনো চলছে স্বাগতিক পাকিস্তানের। ০-২- ম্যাচের ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের দায় কাঁধে নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন পকিস্তানি অধিনায়ক। এমনকি সিরিজে ফলাফলের কৃতিত্ব বাংলাদেশকে দিয়েছেন তিনি।
এ🎀ক সংবাদ সম্মেলনে শান মাসুদ বলেন, ‘আমি পুরো ♚জাতির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। যা আগেও বলেছি, হার কিংবা ভুল হলে দায় নেবো।’
একপর্যায়ে দেশটির ওই সাংবাদিক বাংলাদেশকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হার…?’ প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবে নেননি পাকিস্তানি অধিনায়ক। শান মাসুদ জবাব দেন, ‘এমন প্রতিপক্ষ বলে কাউকে ছোট করতে পারি না। সব প্রতিপক্ষকে সম্মান দিতে হবে। বাংলাদেশ দুই টেস্টেই আমাদের চেয়ে বেশ♊ি ডিসিপ্লিনড ছিলো। আমাদের নিজেদের দিকে তাকাতে হবে, আমরা কত ভুল করেছি বুঝতে হবে। তাদের দুজন (সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহি💎ম) ৭০-৮০ টেস্ট খেলা ক্রিকেটার আছে, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজও প্রায় ৪০ এর কাছাকাছি খেলেছে। লাল-বলে আমাদেরও এই মানের ক্রিকেটার প্রয়োজন।’
নিজেদের দুর্বলতার জায়গা দেখিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে ফিটনেস, মানসিক ও শারিরীক সক্ষমতা চার-পাঁচদিনের জন্য থাকতে হয়। আমরা এই সিরিজে যা দেখিয়েছি, তা♍তে প্রমাণ হয়েছে যে আমাদের আরও কিছু ꦕকরা দরকার।’