• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কী লেখা হয়েছিল, যা নিয়ে তোলপাড়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কী লেখা হয়েছিল, যা নিয়ে তোলপাড়
ফেরদৌস, রিয়াজ, সাবা ও অরুণা ছবি কোলাজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শোবিজের অনেক শিল🙈্পীই প্রতিবাদ জানান, এমনকি রাজপথেও নেমে আসেন। তবে তাদের মধ্যে অনেককেই এই আন্দোলনে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ 𓆏দলীয় ট্যাগে আন্দোলনের বিপক্ষে কথা বলেছেন।

ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও দলটির ঘনিষ্ঠ হিসেবে 🥂পরিচিত শিল্পীদের কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছ🎃ড়িয়ে পড়েছে।

‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ♎সব নেতা ওꦍ শিল্পী আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রুপের কয়েকটি স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

নির্মাতা ইমেল হক📖 একাধিক স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, “অরুণা বিশ্বাস এবং সোহানা সাবার এখন কথা ফুটছে। অথচ আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে এরা কী ধরনের আলাপ করত, তার দুইটা নমুনা দিলাম।...”

এই গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন সাবেক তথ্য প্রℱতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে জানা গেছ𒈔ে, এই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, চিত্রনায়ক রিয়াজ, অভিনেতা সাজু খাদেম ও অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি স্ক্রিনশট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গ্রুপের সদস্যর𒁏া আন্দোলনের বিপক্ষে সরব ছিলেন। আন্দোলনক🐎ারী ও আন্দোলনের পক্ষে থাকা নির্মাতা ও শিল্পীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিলেন তারা। আন্দোলনকারীদের বিষোদগার করেছেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিল্পী ও নির্মাতাদের বেশির ভাগই শ𝓰িক্ষার্থীদের পক্ষে রাজপথে ছিলেন। পুলিশের গুলিতে একের পর এক শিক্ষার্থীর নিহতের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন বহু শিল্পী-নির্মাতা। ছাত্র-জনতার ওপর দমন-পীড়ন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা গেছে অল্প কয়েকজন শিল্পীকে; মূলত তারাই ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্য ছিলেন। এই গ্রুপের অ্যাডমিনদের একজন ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস বলেছেন, ‘গরম জল দি༺লেই হবে।’

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কথোপকথনে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিকে লিখতে দেখা গেছে, “বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যমকে ঢুকতে দিচ্ছে না টোকাই জামাত শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীর𒐪া।”

তখন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস বলেছেন, “গরম🍬 জল দিলেই হবে।”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীদের কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন। কারও কারও ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ দেশেꦇর বাইরে উড়াল দিয়েছেন।

অনেকটা নীরবে কানাডা গেছেন অরুণা বিশ্ব🐓াস। অভিযোগের বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে ‘গরম জল দিলেই হবে’ মন্তব্যটি তার বলে স্বীকার করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আশফান নিপুন, অভিনেতা সিয়াম আহমেদ, অভিনেত্রী নাজিফা তুষিಌ, সাদিয়া আয়মানসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে ক্রোধ প্রকাশ করেছেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যদের কেউ কেউ। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, না🥃জিফা তুষিদের কেউ এ গ্রুপে ছিলেন না।

আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগপন্থী শিল্পীদের এই গ্রুপে লিমন আহমেদ নামের এক বিনোদন সাংবাদিককেও দেখা গেছে। আন্দোলনের পক্ষে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটি ফেসবুক পোস্টে🏅র স্ক্রিনশট ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে দেন লিমন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে প্ꦉরকাশের অযোগ্য ভাষায় গালি দিয়েছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতিসহ আরও কয়েকজন।

আন্দোলনের পক্ষে যারা প্রোফাইল লাল করেছিলেন তাদের চিনে রাখা এবং পরবর্তী সময়ে ‘সাইজ করার’ হুমকির কথাও এসেছে এই গ্রুপে। আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রোফাইল ‘ল꧒াল’ করায় এক সংগীতশিল্পীকে নিয়ে অরুণা বিশ্বাস লিখেছেন, “বয়স যদি কম থাꦦকত পিটাইতে পিটাইতে বাবা ডাক শিখাইতাম।”

আন্দোলনের পক্ষে ‘এক দফা’ শীর্ষক ছবি কাভারে পোস🦂্ট করেছিলেন তরুণ অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। সেই পোস্টের স্ক্রিনশট ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে দিয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি🎀 দেওয়া হয়।

এই ꧂গ্রুপ থেকেই সরকারের পক্ষে শিল্পীদের নিয়ে বিটিভি, এফডিসির সামনে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গ্রুপে অ্যাডমিনদের পাশপাশি আন্দোলনের বিরুদ্ধে রোকেয়া প্রাচী, পরিচালক মাসুদ পথিক, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী করসহ আরও অনেকে সরব ছিলেন।

এসব স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেক শিল্পী, নির্মাতা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীদে♊র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।

নির্মাতা আশফাক নিপুন এক ফেসবুক পো𒆙স্টে লিখেছেন, ‘“আলো আসবেই” গ্রুপে আমার যত সহকর্মী ছিলেন সবাইকে বলতে চাই, এখনো সময় আছে “আলোতে আসেন”। খুনি শাসক না, জনগণই সকল আলোর উৎস। আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। 🌟এটার স্ক্রিনশট নিয়েও ছড়িয়ে দেন, যদি এখনো আপনাদের কোনো গোপন গ্রুপ থাকে।”

Link copied!