• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলার সময় যে ৬টি ভুল করেন বাবা-মা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২১, ০২:৩২ পিএম
বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলার সময় যে ৬টি ভুল করেন বাবা-মা

সন্তানকে ছোট থেকে বড় করা সহজ কাজ নয়। সন্তানের প্রতিটি ক্ষেত্রে যত্নশীল হতে হয়। তাদে🌳র সঙ্গে বাবা-মায়ের আচরণ ও কথাবার্তা কেমন হবে, এই বিষয়েও যত্নবান হতে হয়। বাচ্চারা প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে খুব আলাদা। তাদের সঙ্গে মেলামেশা যতটা সহজ মনে করছেন, আসলে ততটা সহজ নয়।

বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলার সময় অনেক বাবা-মা বেশকিছু ভুল ক🌳রে থাকেন। এই বিষয়ে✱ সচেতন হওয়া দরকার। ভুলগুলো এড়িয়ে গেলে সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্ক আরও উন্নত হয়।

বাচ্চাদের♛ সঙ্গে কথা বলার সম🍒য় কিছু ভুল রয়েছে যা বাবা-মা প্রায়ই করে থাকেন। যে ভুলগুলো করেন_


বাচ্চাকে অপরাধবোধ অনুভব করানোর চেষ্টা করি

কোন ভুল কাজে🌠র জন্য় বাচ্চাকে অপরাধবোধ করানোর চেষ্টা করেন অধিকাংশ বাবা-মা। বা🍌চ্চা ওই কাজের জন্য় লজ্জাবোধ করবে বা অনুতপ্ত হবে তেমনটাই আশা করেন। যদিও এমন প্রত্যাশা মোটেও উচিত নয়। এতে বাচ্চার মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কেউ আপনার সঙ্গে এমনটা করলে নিশ্চয় আপনারও এটা ভালো লাগবে না। তাই ভেবে দেখুন, ছোট বাচ্চা এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে স্বাভাবিক থাকবে।

বাচ্চাদের কথা না শুনে নিজেই কথা বলা

বাচ্চাকে যেভাবে কথা শুনতে বাধ্য করছেন, তেমনি তার কথাগুলোও শুনুন। তাদের কথা শুনতে হবে। এটা তাদের নিজস্ব বিকাশের ⭕জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমনটা করলে আপনার সন্তান শিখবে কীভাবে নিজের পক্ষে দাঁড়াতে হয়। সেই সঙ্গে এটি বাচ্চাকে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনও শেখাতে সহায়তা করবে।


একই বিষয়ে বারবার বলা

বাচ্চার কোনও অভ্যাসে যদি আপনার বিরক্তবোধ হয় এবং আপনি তা পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন এমনটা হলে তাকে একব🌠ার থেকে দুইবার সতর্ক করুন। বার বার বলবেন না। একই বিষয়ে আপনার পুনরাবৃত্তি বাচ্চাকে একঘেয়ে করে দিবে। হয়তবা আপনি বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি চাহিদা করছেন বা আপনার বাচ্চা আপনার কথা শুনছে না, বিষয়টি সেখানেই চেপে যান। বরং তাকে ধীরে ধীরে বুঝিয়ে বলুন।


অনেক বেশি কথা বলা

বাচ্চাদের বোঝার সক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো নয়। অনেকগুলো তথ্য একইসময়ে তারা বুঝে উঠতে পারে না। তাই একেবারে অনেক বেশি বলা বা উপদেশ দেওয়া ঠিক নয়। ꦗবরং বাচ্চাদের ভেঙ্গে ভেঙ্গে কথাগুলো বুঝিয়ে নিতে হবে। এতে তারা কথাগুলো মনে রাখতে পারে এবং তাদের মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়।


বাচ্চাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করতে ভুলে যাই

মনে রাখবেন, আপনার বাচ্চা যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ। তার প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন। কঠোর হবেন না। বাচ্চারা যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরেও ভালো রেজ𒐪াল্ট না হওয়ার ব্যর্থতা তাদের ওপর চাপিয়ে দিবেন না। তার প্রাপ্ত রেজাল্টের উপর গর্বিত হোন। দেখবেন তারাই সবচেয়ে ভালো করবে।

বাচ্চার আবেগকে এড়িয়ে যাওয়া

আমরা ভাবি যে, বাচ্চারা নির্বোধ। যা তারা অনুভব করছে তা অযৌক্তিক। আমরা নিজেরা তাদের চেয়ে ভালো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এটဣা ভাবা ঠিক নয়। বরং বাচ্চা যা অনুভব করে সেগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। তাদের অনুভূতিগুলো এড়িয়ে না চলে বরং তা প্রকাশে সহায়তা করা উচিত। তা না হলে বাচ্চার সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের এমন আচরণে সম্পর্ক বিপর্যয়ের কারণ হবেন আপনি নিজেই।

 

সূত্র: অ্যাওয়ারনেস অ্যাক্ট

Link copied!