গাছ যখন মাটিতে থাকে তখন সে তার মতো শেকর চারপাশে ছড়িয়ে বেড়ে উঠে। সেই একই গাছ টবের অল্প মাটিতে থাকলে সেౠখানে তার মতো বেড়ে উঠতে পারে না। গাছ যখন বড় হতে থাকে তখন তার শেকর বাকর চারপাশে ছড়াতে থাকে। সেক্ষেত্রে তার টব ও টবের মাটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়ে পরে। নয়ত গাছ তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পায় না। যার ফলে সেই গাছ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। তাই গাছের টব ও টবের মাটি পরিবর্তন করতে হয়। আর একেই বলে রিপটিং। তবে রিপটিং সবসময় করা যায় না। 🌃রিপটিংয়ের জন্য সঠিক পাত্র, সময়, নিয়ম জানতে হবে। চলুন জেনে নেই, গাছ ‘রিপটিং’ করার আগে যেসব বিষয় জেনে নিবেন-
- একেক গাছ রিপটিং এর জন্য একেক সময় রয়েছে। চাইলেও যেকোন সময় রিপটিং করা যায় না। সাধারণত বর্ষাকালই ‘রিপটিং’ করার আদর্শ সময়। তবে এডেনিয়াম মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সময়ে রিপটিং করতে পারবেন।
- পুরনো যে টবে গাছটি রয়েছে, তার চেয়ে কিছুটা বড় টব নিতে হবে। গাছের ধরণ অনুযায়ী টব দিতে হবে। টব থেকে পানি বের হবার ভাল ব্যবস্থা টবে আছে কি না সেটা খেয়াল রাখতে হবে।। ‘রিপটিং’ করার আগে দেখে নিতে হবে, পাত্র থেকে জল বেরোনোর ব্যবস্থা যেন থাকে।
- গাছের ধরণ অনুযায়ী মাটি প্রস্তুত করতে হবে। আমাদের দেশী গাছের জন্য একরকম আবার যদি গাছটি ক্যাকটাস, স্যাকুলেন্ট বা এডেনিয়াম হয় তাহলে নিয়ম মেনে বালি, ভার্মিকম্পোস্ট বা আরো আর যা যা আছে সব নিয়ম মেনে দিয়ে সয়েল বানাতে হবে।
- নতুন পাত্রে গাছ বসানোর আগে ভাল করে দেখে নিতে হবে শিকড়ের স্বাস্থ্য। শিকড়ের কোনও অংশ পচে গেলে তা বাদ দিতে হবে। কিছু শিকর কেটে দিতে হবে। যেসব গাছের কর্ডেক্স মোটা রাখতে চান তার অপ্রয়োজনীয় শিকড় কেটে দিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, প্রধান মূলটিতে যেন আঘাত না লাগে। তারপর টবে গাছ লাগিয়ে দিতে হবে।
- নতুন টবে গাছ বসানোর পর অল্প পানি দিতে হবে। না হলে গাছের শিকড় সঠিক ভাবে মাটি আঁকড়ে ধরতে পারবে না।
- রিপটিং করার পর গাছ যাতে সরাসরি রোদ বা বৃষ্টি পড়ে এমন জায়গায় গাছটিকে রাখা যাবে না। পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসে এমন জায়গায় ছায়াতে রাখলেই হবে।