বাঙালি মাত্রই ভোজনরসিক। আর কাচ্চির কথা শুনলে ভোজনরসিকরা নড়েচড়ে বসেন। মাথায় চলে আসে পু♐রান ঢাকার নান্না বা হাজির বিরিয়ানির কথা। যদিও এখন ꦚঅনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে সুলতান ডাইন, কাচ্চি ভাইসহ অনেক রেস্তোরাঁ। দেশের সব প্রান্তেই এখন স্বুসাদু কাচ্চি পাওয়া যায়। বড় হাঁড়ি থেকে একেবারে প্লেটে গরম গরম কাচ্চি খেতে চাইলে যেতে হবে পুরান ঢাকায়। তবে কাচ্চির এসব বড় হাঁড়ির সঙ্গে লাল কাপড় নিশ্চয় অনেকে দেখেছেন। কিন্তু এই কাপড় কেন বাঁধা হয়? আজ জানাব বিস্তারিত।
বাইের খ🅠েতে যাওয়ার কথা হলেই যে খাবারের নাম সবার আগে আসে সেটি হলো বিরিয়ানি। এখন অবশ্য বিরিয়ানির প্রতি আমাদের ভালোবাসা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণে। আর ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটের আনাচে-কানাচে, এমনকি অলি-গলিতেও এখন বিরিয়ানির দোকান। তাই বিরিয়ানি খেতে চাইলে কষ্ট করে দোকান খুঁজতে হবে না। দূর থেকেই নাকে চলে আসব🐓ে বিরিয়ানির সুবাস। আর চোখে পড়বে লাল কাপড়ে মোড়া বিরিয়ানির বিশাল হাঁড়ি।
এটা নিশ্চয় সবাই খেয়াল করেছেন বিরিয়ানির পাত্র প্রায় সব দোকানেই একটা লাল কাপড়ে মোড়া থাকে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন, কেন বিরিয়ানির হাঁড়ি নীল, সাদা, হলুদ বা অন্য কোনো রঙের কাপড়ে মোড়া থাকে না? সব সময় কেন লাল রঙের কাপড় ব্যবহার হয়? মজার বিষয় হলো, মানুষের ভাষার মতো রঙেরও ভাষা আছে। দেশভেদে এই রঙের ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে লাল রংকে সাধারণত ধরা হয় সৌভাগ্য, আনন্দ-উৎসব⭕ ও ভালোবাসার আবেগের প্রতীক হিসেবে। বলুনꦚ তো, হৃদয়ের রং কী? শুধু তা-ই নয়, উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রকাশের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় লাল গোলাপ।
জানা যায়, সম্রাট হুমায়ুনের খাদ্য পরিবেশনে ছিল দরবারি বিশেষ রীতি। খাবারের মান অনুসারে বিভিন্ন পাত্র ♎ব্যবহার হতো। রুপালি পাত্রের খাবারগুলো ঢাকা থাকত লাল কাপড়ে। আর অন্য ধাতব বা চিনামাটির পাত্রগুলো সাদা কাপড়ে ঢেকে নিয়ে আসা হতো। পরবর্তীকালে মুঘল দরবারেও একই রীতি অনুসরণ করা হয়। খাদ্য পরিবেশনের এই মজার রীতি ও রঙের ব্যবহার লখনউয়ের নবাবরাও অনুসরণ করতেন। সেই থেকেই বিরিয়ানির পাত্র লাল কাপড়ে ঢাকার রীতি চলে আসছে।