• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সূর্যগ্রহণের সময় রাসুল (সা.) যা করতে বলেছেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪, ১২:১৩ পিএম
সূর্যগ্রহণের সময় রাসুল (সা.) যা করতে বলেছেন
সূর্যগ্রহণ। ছবি : সংগৃহীত

সোমবার (৮ এপ্রিল) ভরদুপুরে বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সময় চাঁদের ছায়া সূর্যকে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড সম্প🐟ূর্ণ ঢেকে রাখবে। পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহ♏ণের সময় উত্তর আমেরিকার তিন দেশে দিনের বেলাই নামবে রাতের অন্ধকার।

অধিকাংশ সময়ই আমাদের দেশের মানুষেরা অত্যন্ত আনন্দ আর কৌতূহল নিয়ে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ প্রত🍸্যক্ষ করে থাকে। অথচ বিষয়টি আনন্দের নয়, ভয় ও ক্ষমাপ্রার্থনার।

সূর্য ও চন্দ্র যখন গ্রহণের সময় হয়, তখন আমাদের হজরত মুꩵহাম্মদ (স🎐া.)-এর চেহারা ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যেত। তখন তিনি সাহাবিদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়তেন। কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।

আরবিতে সূর্যগ্রহণকে ‘কুসুফ’ বলা হয়। আর সূর্যগ্রহণের নামাজকে ‘নামাজ๊ে কুসুফ’ বল🌊া হয়।

দশম হিজরিতে যখন পবিত্র মদিনায় সূর্যগ্রহণ হয়, রাসুল (সা.) ঘোষণা দিয়ে লোকদের নামাজের জন্য সমবেত করেছিলেন। তারপর সম্ভবত তার জীবনের সর্বাধিক দীর্ঘ নামাজের জামাতের ইমামতি করেছিলেন। সেই নামাজের কিয়াম,🦂 রুকু, সিজদাহ মোটকথা, প্রতিটি রুকন সাধারণ অভ্যাসের চেয়ে অনেক দীর্ঘ ছিল।

অবিশ্বাসী বিজ্ঞানীরা প্রথমে যখন মহানবী (সা.)-এর এ আমল সম্পর্কে জানতে পারল, তখন তারা এটা নিয়ে বিদ্রূপ করল (নাউযুবিল্লাহ)। তারা বলল🌜, এ সময় এটা করার কি যৌক্তিকতা আছে?

সূর্যগ্রহণের সময় চন্দ্রটি পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে বলꦦে সূর্যগ্রহণ হয়। ব্যস এতটুকুই! এখানে কান্নাকাটি করার কী আছে? মজার বিষয় হলো, বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় যখন এ বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু হলো, তখন মহানবীর (সা.) এই আমলের তাৎপর্য বেরিয়ে এলো।

আধুনিক সৌরবিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ দুটি কক্ষপথের মধ্যবলয়ে রয়েছে এস্টিরয়ে (Asteroid), মিটিওরিট (Meteorite) ও উল্কাপিণ্ডꦆ প্রভৃতি ভাসমান পাথরের এক সুবিশাল বেল্ট, এগুলোকে এককথায় গ্রহাণুপুঞ্জ বলা হয়।

গ্রহাণুপুঞ্জের এইবেল্ট (Belt) আবিষ্কৃত হয় ১৮০১ সালে। এক একটা ঝুলন্ত পাথরের ব্যাস ১২০ মাইল থেকে ৪৫০ মাইল। বিজ্ঞানীরা আজ পাথরের এই ঝুলন্ত বেল্ট নিয়ে শঙ্কিত। কখন জানি এ বেল্ট থেকে কোন পাথর নিক্ষিপ্ত🎶 হয়ে পৃথিবীর বুকে আঘাত হানে, যা পৃথিবীর জন্য ধ্বংসের কারণ হয় কি না?

গ্রহাণুপুঞ্জের পাথর খণ্ডগুলোর মাঝে সংঘর্ষের ফলে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথরখণ্ড প্রতিনিয়তই পৃথিবীর দিকে ধেয🥃়ে আসে। কিন্তু সেগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এসে জ্বলে ভস্ম হয়ে যায়। কিন্তু বৃহদাকার পাথর খণ্ডগুলো য🎃দি পৃথিবীতে আঘাত করে তাহলে কী হবে? 

এই দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় মহানবীর (সা.) সেজদারত হওয়া এবং সৃষ্টিকুলের জন্য পানাহ চাওয়ার মধ্যে আমরা একটি নিখুঁত বাস্তবতার সম্পর্ক খুঁজে পཧাই।💧 মহানবীর (সা.) এ আমলটি ছিলো যুক্তিসংগত ও একান্ত বিজ্ঞানসম্মত। তাই এটিকে উৎসব না বানিয়ে আল্লাহকে ভয় করুন। সালাত আদায় করুন।

Link copied!