• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সঙ্গীহীন জীবন বেশি ভালো!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২, ১০:৫৬ এএম
সঙ্গীহীন জীবন বেশি ভালো!

সঙ্গী থাকলে জীবনটাও রঙিন হয়ে ওঠে। প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করা যায়। প্রিয়জন পাশে  থাকলে সব🐈কিছু জয় করাও সহজ মনে হয়। কিছু ক্ষেত্রে এর উল্টোটাও হয়। যেমন প্👍রিয়জনের সঙ্গে বোঝাপড়ার জায়গায় মিল না হলে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। তখন প্রতি মুহূর্তকে বিষাদ মনে হয়। নানা অসিলায় দুজনের মাঝে দূরত্ব বাড়ে। একসময় হয়ে যায় বিচ্ছেদ!

এমন ছোট ছোট বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করেই সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, স🍸ঙ্গীহীন জীবনই অপেক্ষাকৃত বেশি ভালো এবং চিন্তামুক্ত। তারা স্বাধীন হয় এবং তাদের আয়ুও বেশি হয়।

অনলি মাই হেলথ-এ প্রকাশ পাওয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন এমন তথ্য। প্রতিবেদনে  বিভিন্ন গবেষণার কথাও উঠে এসেছে। যার প্রতিটিতেই সঙ্গীহীন ﷺজীবনের সুফল বার্তা দেওয়া হয়েছে। 

২০১৫ সালে ভারতের লখনউয়ের হেলথকেয়ার ক্লিনিকের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডা. তনু চৌধুরী এই বিষয়ে এক সমীক্ষা চালান। সেই সমীক্ষার তথ্য&💯nbsp;অনুসারে, বিবাহিতদের তুলনায়  অবিবাহিতরা বন্ধু ও পরিবারকে বেশি সময় দেয়। অবিবাহিতরা পরিবারের অন্যদের বিষয়েও বেশি যত্নশীল ও মনোযোগী হয়। কারণ, তাদের মানসিক চাপ কম থাকে। আর্থিকভাবেও তারা চাপমুক্ত থাকে।

বিবাহিত বা সঙ꧙্গী থাকলে চাপ বাড়ে। প্রিয়জনের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে হয়। সংসারের চাপ পেয়ে বসে। উপার্জন নিয়ে ভাবতে হয়। মানসিক চাপ বাড়ে। একসময় শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন রোগেরও আক্রান্ত হয়। 

এদিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের এক সমীক্ষা উঠে এসেছে, সঙ্গীহীনরা নিজের প্রতি বেশি যত্নশীল হয়। তারা শরীরচর্চায় মগ্ন থাকেন। বিভিন্ন খেলাধুলায় তাদের অংশগ্রহণ দেখা যায়। তারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হয়। ফলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে অনায়💃াসেই মুক্ত থাকেন অবিব💙াহিতরা।

সঙ্গীহীনদের💎 ঘুমও ভালো হয় বলে জানানো হয় গবেষণায়। ঘরের পরিবেশ স্বস্তিদায়ক থাকলে ঘুম ভালো হবে। তা ছাড়া অবিবাহিতদের বিছানা ভাগাভাগি করতে হয় না তাই তাদের ঘুম ভালো হয়। ফলে শরীরও সুস্থ থাকে।

যারা একা থাকেন বা বিবাহিত নন, তাদের সঙ্গীকে নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না। সঙ্গীর বিষয়ে খেয়াল রাখাটা অনেক সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণ হয়। বারবার সঙ্গীর খোঁজ নেও🌠য়া, অতিরিক্ত প্রটেকশন ও কেয়ারিং হওয়া অনেক সময় মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। 

নারী-♔পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই একই চিত্র দেখা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীরা বিয়ের আগে বেশি সুখী থাকেন। পুরুষরাও একইভাবে স্বাধীন জীবন কাটান। সংসারজীবন শুরু𓆉র পর নিজেদের ও আশপাশের অনেক দায়িত্বও যোগ হয়। এতে স্বাধীনতা আগের মতো থাকে না। নিজেদের নিয়ে চিন্তার সুযোগও কম থাকে। তাই সঙ্গীহীন জীবনে হতাশ না হয়ে, বরং জীবনকে উপভোগ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

Link copied!