• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে কী করবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২২, ১১:৪৯ এএম
ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে কী করবেন

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। বাংলাদেশে অশনির প্রভাব নিয়ে চিন্তিত সবাই। অশনি কি বয়ে আনবে ঘূর্ণিঝড়? হবে কি ঝড়বৃষ্টি? দুশ্চিন্তায় রয়েছে গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের সবাই। ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী মঙ্গলবার অশনি উত্তর অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আছড়🌞ে পড়ার কথা। 

‘অশনি’র প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। ইতিমধ্যে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার♋ বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। দুর্যোগের এই সময়টাকে পরিবার ও পরিবেশের কথা ভেবেছেন কি? আগে থেকে প্রস্তুতি না থাকলে পড়তে পারেন মহাবিপদে। 

চলুনꦕ জেনে নেওয়া যাক ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে কী করবেন, সে সম্পর্কে।

  • দুর্যোগের সময় কোন এলাকার লোক কোন আশ্রয়ে যাবে, গবাদিপশু কোথায় থাকবে, তা আগে ঠিক করে রাখুন এবং জায়গা চিনে রাখুন।
  • বাড়িতে, গ্রামে, রাস্তায় ও বাঁধের ওপর গাছ লাগান।
  • যথাসম্ভব উঁচু স্থানে শক্ত করে ঘর তৈরি করুন। পাকা ভিত্তির ওপর লোহার বা কাঠের পিলার এবং ফ্রেম দিয়ে তার ওপর ছাউনি দিন। ছাউনিতে টিন ব্যবহার না করা ভালো। কারণ, ঝড়ের সময় টিন উড়ে মানুষ ও গবাদিপশু আহত করতে পারে। তবে শূন্য দশমিক ৫ মিলিমিটার পুরুত্ববিশিষ্ট টিন ও জেহুক ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • উঁচু জায়গায় টিউবওয়েল স্থাপন করুন, যাতে জলোচ্ছ্বাসের লোনা ও ময়লা পানি টিউবওয়েলে ঢুকতে না পারে।
  • জেলে নৌকা, লঞ্চ ও ট্রলারে রেডিও রাখুন। সকাল, দুপুর ও বিকেলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস শোনার অভ্যাস করুন।
  • সম্ভব হলে বাড়িতে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম (ব্যান্ডেজ, ডেটল প্রভৃতি) রাখুন।
  • জলোচ্ছ্বাসের পানির প্রকোপ থেকে রক্ষার নানা রকম শস্যের বীজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিন।
  • বাড়িতে ও রাস্তায় নারকেল, কলাগাছ, বাঁশ, তাল, কড়ই ও অন্যান্য শক্ত গাছ লাগান। এসব গাছ ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের বেগ কমিয়ে দেয়। ফলে মানুষ দুর্যোগের কবল থেকে বাঁচতে পারে।
  • নারী-পুরুষ, ছেলেমেয়ে প্রত্যেকেরই সাঁতার শেখা উচিত।
  • ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে বা অন্য আশ্রয়ে যাওয়ার সময় কী কী জরুরি জিনিস সঙ্গে নেওয়া যাবে এবং কী কী জিনিস মাটিতে পুঁতে রাখা হবে, তা ঠিক করে সেই অনুসারে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
  • আর্থিক সামর্থ্য থাকলে ঘরের মধ্যে একটি পাকা গর্ত করুন। জলোচ্ছ্বাসের আগে এই পাকা গর্তের মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারবেন।
  • ডায়রিয়া মহামারির প্রতি সচেতন দৃষ্টি রাখতে হবে। শিশুদের ডায়রিয়া হলে কীভাবে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হবে, সে বিষয়ে পরিবারের সবাইকে প্রশিক্ষণ দেন।
  • ঘূর্ণিঝড়ের মাসগুলোতে বাড়িতে মুড়ি, চিড়া, বিস্কুটজাতীয় শুকনো খাবার রাখা ভালো।
  • নোংরা পানি কীভাবে ফিটকারি বা ফিল্টার দ্বারা খাবার ও ব্যবহারের উপযোগী করা যায়, সে বিষয়ে নারীদের এবং আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন।
  • ঘূর্ণিঝড়ের পরে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করুন। বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ। মাটির বড় হাঁড়িতে বা ড্রামে পানি রেখে তার মুখ ভালোভাবে আটকে রাখতে হবে, যাতে পোকামাকড়, ময়লা-আবর্জনা ঢুকতে না পারে।
Link copied!