সুস্থ থাকতে হলে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করা জরুরি। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। এ ছাড়া ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনের সুরক্ষা দিতে, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন ꦉসি উপকারী। আর এই ভিটামিন আমরা গ্রহণ করি খাবার থেকে। প্রতিদিনের কিছু খাবার রয়েছে, যা শরীরের কোষে কোষে ভ🍰িটামিন সি পৌঁছে দেয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রক্তে থাকা প্রয়োজন। না হলে দেখা দেয় নানান সমস্যা। শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে কি না, তা কিছু লক্ষণ দেখলেই কিন্তু বোঝা যায়।
- ভিটামিন সি’র অভাব হলে শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। হঠাৎ হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, খিদে চলে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করার মতো লক্ষণ দেখা যায়। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রাখুন।
- অল্পতেই যদি খুব ক্লান্ত লাগে, তা হলে রক্তে ভিটামিন সি-এর মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভালো। কারণ, ভিটামিন সি শরীরে কার্নিটিন নামক একটি অণু উৎপাদনে সহায়তা করে। সেটিই দেহের ফ্যাটকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
- শরীরে ভিটামিন সি’র অভাব হলে দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন সি’র অভাব হলে দাঁতের গোড়ায় ক্যালসিয়াম জমায় ও মাড়িকে দুর্বল করে।
- ভিটামিন সি’র অভাবে চুলের গোড়াকে আলগা করে ও চুল পাতলা করে তোলে। কোনো অসুখ ছাড়াই ঘন ঘন চুল উঠলে বুঝবেন ভিটামিন সি’র অভাব।
- ভিটামিন সি’র অভাবে ত্বকের নানা রোগ হতে পারে। ত্বক জ্বালা করে, চুলকায়। ভিটামিন সি-তে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা কোলাজেন উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কোলাজেন প্রোটিনটি স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিটামিন সি’র অভাবে লিম্ফোসাইট বা শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হতে পারে না এবং শরীর কোনো জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে পারে না। সহজে ঠাণ্ডা লাগে।
- শরীরে আয়রন শোষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ভিটামিন সি। শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে আয়রন শোষণের হার কমে যায়। ফলে রক্তাল্পতার মতো রোগ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার অভাবও হয়।