পিরি💜য়ডের সময়টা প্রত্যেক নারীর জন্যই বেশ চ্যালেঞ্জিং। অনেকেই এ সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় পড়েন। পেটে ব্যাথা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, মেজাজ পরিবর্তন, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিকর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশের অনেক নারী প্রস্রাব সংক্রমণ ও জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হন ঋতুস্রাব চলাকালীন অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য। তাই এসময় স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করা দরকার। এদিকে পিরিয়ড চলাকালীন সময়েও নারীর বিরাম নেই। নানা কাজের ব্যস্ততায় অস্বস্তির মাঝেই দিন কাটাতে হয় নারীদের। তবে এসব দিনে একটু সর্তকতা অবলম⭕্বন করা উচিত। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত-
- পিরিয়ডের সময় কাপড়, তুলা বা টিস্যু ব্যবহার না করে স্যানিটারি প্যাড বা মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করুন।
- স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করলে চার থেকে ছয় ঘণ্টা পরপর প্যাড পরিবর্তন করুন। একসঙ্গে দুটি স্যানিটারি প্যাড পরবেন না।
- এ সময়ে চিপস কিংবা নোনতা খাবার খাবেন না। এমনিতেই মাসিকের সময় শরীর বেশ ভারী লাগে। তার ওপর এসব খেলে শরীরে পানি জমতে পারে।
- ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এড়াতে সুতির আরামদায়ক পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করুন।
- পিরিয়ডের সময় চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়, ফলে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। এ সময় চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো।
- এ সময় জরায়ু অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় থাকে, সামান্য আঘাতেও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যেন এ সময় পেটে কোনো আঘাত না লাগে।
- মাসিক চলাকালীন স্বাস্থ্যকর খাবার বিশেষ করে মৌসুমি ফল, সবজি, ডিম খেতে পারেন। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ভাজাপোড়া, তেল-চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
- প্যাড র্যাশ এড়াতে যথাসময়ে প্যাড পরিবর্তন করা এবং যোনিপথের আশপাশের জায়গা শুকনা রাখা জরুরি।
- এ সময় অতিরিক্ত কফি খাবেন না।
- এসময় ভারী কাজ, ব্যায়াম, সাঁতার বা সাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকুন।
- এ সময় দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। মাসিকের সময় শরীর থেকে বেশ খানিকটা রক্ত বেরিয়ে যায়, তাই এ সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
- এ সময় হরমোনের প্রভাবে মানসিক ও শারীরিক বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। তাই মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
- পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত চিনি ও লবণাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন৷
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করুন।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, কোমল পানীয়, চা বা কফি, অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে যেতে হবে।