যদি দিনের শুরুটা ভালো হয়, তাহলে সারাদিন ভালো যাবে। আর সেজন্য দিনটি যদি শুরু হয় সকাল সকাল তাহলে সব কাজ করা যায় ভালোভাবে। ঘুম ভাঙতে যত বেলা বাড়ে, আলসেমি তত ঘিরে ধরে। শরীরচর্চা তো দূর, কায়িক পরিশ্রম করতেই ইচ্ছা করে না। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা উচিত। সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া দরকার। ঘুমাতে🐭 যাওয়ার সময় ডিভাইস ব্যবহার বা অফিসের কাজ করা উচিত নয়।
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা অনেকের পক্ষেই বেশ কঠিন একটা কাজ। তবে কয়েকটি বಌিষয় মেনে চললে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব। চলুন জেনে নেই-
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া
ঘুমানোর সময় ঠিক করুন। একজন স্বাভাবিক মানুষের ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হয়। তাই কখন ঘুমাতে যাবেন সেটা আগে ঠিক করুন। তারপর সেসময়ের আগে ঘুমাতে যান। জলদি ঘুম থেকে ওঠার জন্য অবশ্যই জলদি ঘুমোতে যাওয়ার🍨 অভ্যাস করতে হবে। সাধারণত নতুন কোনো অভ্যাস রপ্ত করতে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। সকালে উঠবেন, সেটা যদি মনস্থির করে ফেলেন।
ঘুমের ওষুধকে ‘না’
যাদের ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা আছে তারা ঘুমের ওষুধ পরিহার করুন। যদি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ নিতে হয় তাহলে সেভাবে নিন। ওষুধ খেলে দুপুরে ঘুমিয়ে নিন। দুপুরে ঘুমানোর🎃 সুযোগ না থাকে তাহলে চেষ্টা করুন দুপুরে একটু ভারী খাবার খেতে এবং ꦛরাতের খাবারের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু কম খেতে। এটি যেমন শরীরে ব্যালান্স করবে, তেমনি শরীরকে ঘুমের জন্য তৈরি করবে।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম
ভোরের দিকে ঘুমোতে যান, বেলা করে ওঠেন— দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভ্যাস চললে শরীরের উপর তার প্রভাব ꦺপড়বে স্বাভাবিক ভাবেই। তাই এ অভ্যাস দূর করতে হবে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে সে সময়ে ঘুমাতে যান। এবং সময়টা প্রতিদিন ঠিক রাখুন। নিয়মিত একই সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে।
ডিভাইস দূরে রাখুন
ঘুমাতে গেলে কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে যেকোনও ডিভাইস যেমন- মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখতে হবে। এসব ডিভাইস যে নীল আলো নির্গত করে তা মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে এবং মেলাটোনিনের উৎপাদনকে দমন করতে পারে, যা ঘুমিয়ে পড়া আরও কঠিন করে তোলে। এ ছাড়া সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ঘুমোনোটাও জরুরি। তাই ডিভাইস থেকে দূরেꦡ থাকুন।
নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং অবশ্যই ঘুমানোর ৩ ঘণ্টার আগে খেতে হবে। ভরপেটে ঘুমাতে গেꦕলে অস্বস্তিকর হতে পারে এবং এটি ঘুম আরও কঠিন করে তুলতে 🎃পারে। তাই খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাটাহাটি করতে পারেন।