• ঢাকা
  • শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪, ২ ভাদ্র ১৪৩১, ১২ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


বাড়ছে নদ-নদীর পানি, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
বাড়ছে নদ-নদীর পানি, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি। এতে নতুন নতুন এল✤াকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে বন্যা🎀কবলিত চরাঞ্চলের মানুষের।

নতুন চরে বসতি গড়া পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ও ঘরের মাচান উঁচু করে কোনোরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নৌকায় করে দূরবর্𝐆তী উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) সরেজমিনে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চর বালাডোবা ও মুসার চর ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার প্রায় শতাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের কেউ নৌকায় আবার কেউ ঘরের ভেতর উঁচু༺ করা মাচানে বসবাস করছেন। তাদের পালিত গরুসহ অন্যান্য গবাদিপশুগুলোকেও রাখা হয়েছে ঘরের ভেতর উঁচু করা জ🎶ায়গায়। আবার অনেক পরিবার তাদের গবাদিপশু নৌকায় করে উঁচু জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন।

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছ♏ে নদ-নদীর অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ১৫ হাজার বেশি পরিবার।

উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মতো তলিয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার মশালের চরসহ নতুন জেগে ওঠা চরাঞ্চলগুলো। এসব চরের মানুষজন 🐈পরিবার পরিজন নিয়ে অবস্থান করছেন নৌকায় ঘরের উঁচু মাচানে।

বন্যাকবলিত এসব পরিবারের মানুষজন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলেও গত তিন𓄧 ধরে তাদের ঘরে পানি প্রবেশ করায় খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

চরাঞ্চলের বন্যাকবলিত অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে অবস্থান নিয়েছেন পার্শ্ববর্তী উঁচু স্থানে। অন্যদিকে নদ-নদীর অববাহিকার সড়ক তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চরাঞ্চলের অনেক ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোꦰগে পড়েছেন সেখানকার ব꧂াসিন্দারা।

স্থানীয় পানি𝄹 উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুড়িগ্রামের তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।🍌 আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ১৭৬ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই ত্রাণ বিতরণ অব𓂃্যাহত রয়েছে। 

Link copied!